চরম সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে পরিস্থিতি, সংলাপের আহ্বান
- আপডেট সময় ১১:৫৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
- / ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পরবর্তী কর্মসূচির কারণে পরিস্থিতি চরম সংঘাতের দিকে যাচ্ছে মন্তব্য করে দেশের প্রধান দুটি দলের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।
গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি রোবায়েত ফেরদৌস ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনীতিতে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। শনিবার বিএনপিসহ তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলের সমাবেশে সংঘাত, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পৈশাচিকতায় রূপ নেয়। তাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য, বিএনপির দুজন কর্মী, একজন সিনিয়র সাংবাদিকের মর্মান্তিক মৃত্যু দেশবাসীকে আবারও বিদগ্ধ করেছে। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এই জঘন্যতম হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন।
তারা বলেন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশ হাসপাতালে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনাও মেনে নেওয়া যায় না। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ভিন্নমত ও পথ থাকবে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে আস্থাহীনতা দেশের রাজনীতিতে গভীর সংকট নেমে আসবে। এতে গণতন্ত্রবিরোধী ও দেশবিরোধী চক্র লাভবান হবে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির দুর্বলতার সুযোগে ইতিপূর্বে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও দেশি–বিদেশি মাফিয়া চক্র লাভবান হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অগ্রগতি, স্থিতিশীলতা বারবার ব্যাহত হয়েছে। তারা শনিবারের সহিংসতা এবং পরবর্তী ধ্বংসযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানান। এই অপকর্মের ঘটনার মূল নায়কদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও সব গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক শক্তিগুলো আলোচনায় বসবে। এর মাধ্যমে সমাধানের পথে ফিরে আসবে। দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বার্থে দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সময় এলে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়া হয়। এতে জীবনের অনিশ্চয়তা ও জনদুর্ভোগ বাড়ে। তাই দুই দলের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের করতে হবে।