ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
  • / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে অবিলম্বে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নিস্তব্ধ করার জন্যই একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করা হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিক ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দিনের পর দিন কারাগারে অন্তরীণ রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের জামিন পাওয়ার অধিকারকেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করতেই স্বাধীন গণমাধ্যমের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে কতৃর্ত্ববাদী সরকার।

তিনি বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে সারাবিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য গ্রহের জন্য গণমাধ্যম, পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় সাংবাদিকতা। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিপাদ্যটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও আওয়ামী সরকার এই আইনকে সাংবাদিক, ভিন্ন মতের মানুষ ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন করতে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে না পারে।

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র (বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেস্কোর মতে অবাধ, মুক্তচিন্তা এবং মত প্রকাশের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত শক্তি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান বিএনপির এ নেতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১০:০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে অবিলম্বে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নিস্তব্ধ করার জন্যই একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করা হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিক ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দিনের পর দিন কারাগারে অন্তরীণ রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের জামিন পাওয়ার অধিকারকেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করতেই স্বাধীন গণমাধ্যমের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে কতৃর্ত্ববাদী সরকার।

তিনি বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে সারাবিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য গ্রহের জন্য গণমাধ্যম, পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় সাংবাদিকতা। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিপাদ্যটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও আওয়ামী সরকার এই আইনকে সাংবাদিক, ভিন্ন মতের মানুষ ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন করতে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে না পারে।

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র (বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেস্কোর মতে অবাধ, মুক্তচিন্তা এবং মত প্রকাশের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত শক্তি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান বিএনপির এ নেতা।