ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এইচআইভি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ১১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

ভারতের ত্রিপুরায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এইচআইভি। রাজ্যের এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটির প্রকাশিত তথ্যে মাধ্যমে বিষয়টি সামনে এসেছে।

বুধবার (১০ জুলাই) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজ্যে ৮২৮ শিক্ষার্থীর দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগেই সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ে তাদের দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে।

বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও বিষয়টি পরিষ্কার করেছে সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, গত ১৭ বছরে এতজন আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আক্রান্তদের বেশিরভাগ বেঁচে রয়েছেন। তাদের সবাইকে সরকারি ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।

ত্রিপুরার এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটি জানিয়েছে, রাজ্যের ২২০টি স্কুল ও ২৪টি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগের বাবা মা সচ্ছল অথবা সরকারি চাকরিজীবী। তবে পরিবার যখন তাদের মাদকাসক্তির বিষয়টি জানতে পেরেছে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত ১৭ বছরে ৮২৮ শিক্ষার্থী এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর বাইরেও প্রতিবছর যে পরিমাণ লোক রাজ্যে এইচআইভি আক্রান্ত হচ্ছেন তা উদ্বেগের।

এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটির তথ্যমতে, ২০২২০২৩ সালে রাজ্যে এক হাজার ৮৪৭ জনের দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ সালেও শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৯০ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এইচআইভি

আপডেট সময় ১১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

ভারতের ত্রিপুরায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এইচআইভি। রাজ্যের এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটির প্রকাশিত তথ্যে মাধ্যমে বিষয়টি সামনে এসেছে।

বুধবার (১০ জুলাই) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজ্যে ৮২৮ শিক্ষার্থীর দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগেই সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ে তাদের দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে।

বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও বিষয়টি পরিষ্কার করেছে সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, গত ১৭ বছরে এতজন আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আক্রান্তদের বেশিরভাগ বেঁচে রয়েছেন। তাদের সবাইকে সরকারি ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।

ত্রিপুরার এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটি জানিয়েছে, রাজ্যের ২২০টি স্কুল ও ২৪টি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগের বাবা মা সচ্ছল অথবা সরকারি চাকরিজীবী। তবে পরিবার যখন তাদের মাদকাসক্তির বিষয়টি জানতে পেরেছে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত ১৭ বছরে ৮২৮ শিক্ষার্থী এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর বাইরেও প্রতিবছর যে পরিমাণ লোক রাজ্যে এইচআইভি আক্রান্ত হচ্ছেন তা উদ্বেগের।

এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটির তথ্যমতে, ২০২২০২৩ সালে রাজ্যে এক হাজার ৮৪৭ জনের দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ সালেও শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৯০ জন।