জাবিতে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দিলো আন্দোলনকারীরা
- আপডেট সময় ০২:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
- / ১২৮ বার পড়া হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে চার শিক্ষার্থীকে আটকে হেনস্তা ও ফোন তল্লাশি করায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ছাত্রলীগের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান ফটক ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন কোটাবিরোধী সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে ছাত্রলীগকে ধাওয়া করেন আন্দোলনকারীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন হলের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে রাত ৩টায় হল থেকে বেরিয়ে স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্লোগান বিশ্ববিদ্যালয় পুরো হলে ছড়িয়ে পড়ে৷ এ সময় শিক্ষার্থীরা সমস্বরে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছে স্লোগান দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করা হয়৷
এর মধ্যে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদারকে ডেকে নিয়ে আসেন ছাত্রলীগ নেতারা৷ পরে হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চাইতে বলা হয়। ক্ষমা চাইলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আহ্বান করি। এর মধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী স্লোগান দেওয়ায় তাদের আটকে রেখে মোবাইল তল্লাশি করা হয়েছে, এমন খবর পেয়ে আমরা হলের সামনে আসি।
তারা আরও জানান, এরপর হল প্রভোস্টের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তিনি ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে ছাত্রলীগকে উস্কে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগ আক্রমণাত্মক স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালে আমরা পাল্টা ধাওয়া দেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে হল প্রভোস্ট ছাত্রলীগকে উস্কে দেয়। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। আমরাও ছাত্রলীগকে প্রতিহত করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ না দেখানো হবে আমরা এখান থেকে যাব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, আজ যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. মোস্তফা ফিরোজ কালবেলাকে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এতো রাতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। সোমবার (১৫ জুলাই) প্রশাসনের সকলে মিলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।