দুইদিনের সফরে আজ ঢাকা আসছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

- আপডেট সময় ০৬:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে
অবৈধ মানবপাচার মোকাবিলার পাশাপাশি বৈধ অভিবাসনে উৎসাহ সৃষ্টির জন্য মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি সমঝোতা নিয়ে ইতালির সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাতেও পিয়ান টেডিওসের ঢাকা সফরের সময়ে এ সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে এই চুক্তিটি নিয়ে ইতালির সঙ্গে আলোচনা করছি। আমাদের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন আছে। এ সমঝোতার মাধ্যমে বৈধপথে দক্ষকর্মী পাঠানোকে উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অবৈধ পথে মানবপাচার বন্ধে দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, সে বিষয়েও সমঝোতা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে ২০২২ সালে গ্রিসের সঙ্গে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি চুক্তি হয়েছে। যদিও ওই চুক্তিতে গ্রিসে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের বৈধ করে নেওয়ার বিষয় রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বৈধপথে কর্মী পাঠানো গেলে দুই দেশের জন্যই উপকার হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে। তাদের মতে, ইতালিতে কর্মীর অভাব রয়েছে। আবার বাংলাদেশে ওই দেশটির উপযোগী দক্ষ শ্রমিক রয়েছে।
জানা গেছে, ফ্লুসি অ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় ২০২৩ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে চার লাখ ৫২ হাজার বিদেশি কর্মী নেবে ইতালি। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার দক্ষকর্মী নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে দেশটি। একই সঙ্গে বাড়তি কিছু মৌসুমি কর্মীও নেবে তারা।
এ বিষয়ে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ইতালিতে দক্ষকর্মীর অভাব রয়েছে। ফলে দেশটি বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। এ ছাড়া কৃষিকাজের জন্য মৌসুমি কর্মীও নিয়ে থাকে ইতালি। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিতে ৬০ হাজার কর্মী ভিসার জন্য আবেদন করে এবং এর একটি বড় অংশ জাল কাগজ নিয়ে আবেদন করার কারণে বর্তমানে ভিসা জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি দ্রুত সুরাহার জন্য অনুরোধ করা হবে। ইতিমধ্যে ভিসার কাগজপত্র জাল কি না- সেটি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে ইতালির দূতাবাসে লোকবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাইছি বৈধপথে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অ্যারেঞ্জমেন্ট তৈরি করতে। সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর জন্য দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থাপনা আছে এবং সেগুলো সুন্দরভাবে কাজ করছে। আমরা ইতালির সঙ্গেও এ ধরনের একটি অ্যারেঞ্জমেন্ট তৈরি করতে চাইছি।