ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শফিকুলের ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ০৮:০১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দড় বছর পর ইন্তেকাল করেছেন শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় তার নিজ গ্রাম উপজেলার দর্শারপাড় এলাকায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

শফিক পরিবারসহ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করছিলেন। তিনি ওই এলাকার গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। তিনি জেলার হালুয়াঘাটের দর্শাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। শফিকের স্ত্রীর নাম বিউটি আক্তার। বিল্লাল নামে তার ১৪ বছরের একটি ছেলে আছে।

শফিকুল ইসলাম সরকারিভাবে গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ছিলেন। তার গেজেট নম্বর ৭২২। গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার সময় ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর-পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হলেও শফিক দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি জ্বর ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ২৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শফিকের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সম্প্রতি গুলির ক্ষতস্থানে সংক্রমণ হলে শফিকুলের জ্বর আসে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি নিউমোনিয়া ও সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন।

জানাজায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে তাকে দাফন করা হয়। হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীনূর খান জানাজা ও দাফন সম্পন্নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেশের জন্য তার এই ত্যাগ জাতি আজীবন স্মরণ রাখবে। শফিকুল জুলাইযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যেহেতু মারা গেছেন, শহীদ হিসেবে তাকে গেজেটভুক্ত করা হবে। সরকারি যত সুযোগ-সুবিধা আছে তার পরিবারকে দেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ ১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মুক্তা বলেন, মরহুম শফিকুল ইসলাম শফিক ছিলেন জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা শহীদ পরিবারের পাশে সব সময় থাকব। আল্লাহ তাআলা তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।’

সংবাদ ২৪৭/এজে

নিউজটি শেয়ার করুন

গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শফিকুলের ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় ০৮:০১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দড় বছর পর ইন্তেকাল করেছেন শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় তার নিজ গ্রাম উপজেলার দর্শারপাড় এলাকায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

শফিক পরিবারসহ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করছিলেন। তিনি ওই এলাকার গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। তিনি জেলার হালুয়াঘাটের দর্শাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। শফিকের স্ত্রীর নাম বিউটি আক্তার। বিল্লাল নামে তার ১৪ বছরের একটি ছেলে আছে।

শফিকুল ইসলাম সরকারিভাবে গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ছিলেন। তার গেজেট নম্বর ৭২২। গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার সময় ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর-পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হলেও শফিক দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি জ্বর ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ২৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শফিকের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সম্প্রতি গুলির ক্ষতস্থানে সংক্রমণ হলে শফিকুলের জ্বর আসে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি নিউমোনিয়া ও সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন।

জানাজায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে তাকে দাফন করা হয়। হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীনূর খান জানাজা ও দাফন সম্পন্নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেশের জন্য তার এই ত্যাগ জাতি আজীবন স্মরণ রাখবে। শফিকুল জুলাইযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যেহেতু মারা গেছেন, শহীদ হিসেবে তাকে গেজেটভুক্ত করা হবে। সরকারি যত সুযোগ-সুবিধা আছে তার পরিবারকে দেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ ১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মুক্তা বলেন, মরহুম শফিকুল ইসলাম শফিক ছিলেন জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা শহীদ পরিবারের পাশে সব সময় থাকব। আল্লাহ তাআলা তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।’

সংবাদ ২৪৭/এজে