ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দুপুর পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে দেখা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক পয়েন্টে ২৫ জন, সাইনবোর্ড পয়েন্টে ৬০ জন, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর পয়েন্টে ৬০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
সকাল থেকেই চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা যাত্রী ও চালকেরা কে, কোথায় যাচ্ছেন তা জানতে চান। বাসে যাত্রীদের ব্যাগ, ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতরে ও পেছনে ব্যাকডালা তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে কোনো পয়েন্টেই তল্লাশি চালিয়ে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে দেখা যায়নি। এ সময় কোনো যানবাহনকে দীর্ঘক্ষণ থামিয়ে রাখা কিংবা কোনো যাত্রীকে নামিয়ে দিতে দেখা যায়নি।
কামাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি চিটাগাং রোড থেকে গাড়িতে উঠেছি। মৌচাকে আসতেই পুলিশ গাড়ি থামিয়ে আমাকে এবং আমার ব্যাগ তল্লাশি করেছে। তল্লাশি করে পরে আমাদের গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে।’
শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী মাসুদ বলেন, ‘আমরা কক্সবাজার থেকে আসছি। মৌচাক এলাকায় পুলিশ অন্যান্য গাড়ির মতো আমাদের গাড়িও থামিয়ে চেক করেছে। তবে আমাদের গাড়ি থেকে কাউকে আটক করেনি।’
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ‘সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি যানবাহনে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এ ধরনের তল্লাশি চলবে।’