ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, সংবিধানে লেখা নেই

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৯১ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেছেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এমন কোনো কথা সংবিধানে লেখা নেই। যাদের জনসমর্থন নেই, তারা নির্বাচনে আসবে না।’ শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, “বিএনপি যে কর্মসূচি দিচ্ছে সেটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এগুলো সহিংসতার কর্মসূচি। এগুলোকে ‘টেরোরিস্ট অ্যাকশন’ বলা যেতে পারে।’

নির্বাচন কমিশনের চিঠি নেওয়ার মতো বিএনপির কার্যালয়ে কেউ নেই– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফারুক খান বলেন, ‘এটি বিএনপির জন্য লজ্জাজনক।’

ফারুক খান বলেন, ‘সংবিধান সম্মতভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। আগামীতে ভোট আরও সুষ্ঠু হবে, যখন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে নির্বাচন কমিশন উৎসাহ প্রদান করবে।’

এর আগে, সকালে নির্বাচন কমিশনের সভাকক্ষে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে এবং মতামত জানতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু হয়।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ২২টি এবং বিকেল ৩টায় ২২টি দলের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা। তবে সকালের সংলাপে ১৫টি দল উপস্থিত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে। এছাড়া সংলাপে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তিনটি দল এবং সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি তিনটি দলের। অন্যদিকে, বিকেলের সংলাপে ১৪টি দল আসতে সম্মত হয়েছে। সম্মতি দেয়নি চারটি দল এবং সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি চারটি দলের।

নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জানা যায়, সকালের সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা ১৫ দলের মধ্যে ১৩টি দল অংশগ্রহণ করেছে। সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে আসে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশ, গণফ্রন্ট, ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), তৃনমুল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টি, মুসলিম লীগের একাংশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও গণফোরামের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন।

তবে এলডিপি, বিজেপি কমিউনিস্ট পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে  ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টি, মুসলিম লীগ বিএমএল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, কল্যাণ পার্টি ও খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, সংবিধানে লেখা নেই

আপডেট সময় ০৩:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেছেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এমন কোনো কথা সংবিধানে লেখা নেই। যাদের জনসমর্থন নেই, তারা নির্বাচনে আসবে না।’ শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, “বিএনপি যে কর্মসূচি দিচ্ছে সেটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এগুলো সহিংসতার কর্মসূচি। এগুলোকে ‘টেরোরিস্ট অ্যাকশন’ বলা যেতে পারে।’

নির্বাচন কমিশনের চিঠি নেওয়ার মতো বিএনপির কার্যালয়ে কেউ নেই– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফারুক খান বলেন, ‘এটি বিএনপির জন্য লজ্জাজনক।’

ফারুক খান বলেন, ‘সংবিধান সম্মতভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। আগামীতে ভোট আরও সুষ্ঠু হবে, যখন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে নির্বাচন কমিশন উৎসাহ প্রদান করবে।’

এর আগে, সকালে নির্বাচন কমিশনের সভাকক্ষে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে এবং মতামত জানতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু হয়।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ২২টি এবং বিকেল ৩টায় ২২টি দলের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা। তবে সকালের সংলাপে ১৫টি দল উপস্থিত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে। এছাড়া সংলাপে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তিনটি দল এবং সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি তিনটি দলের। অন্যদিকে, বিকেলের সংলাপে ১৪টি দল আসতে সম্মত হয়েছে। সম্মতি দেয়নি চারটি দল এবং সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি চারটি দলের।

নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জানা যায়, সকালের সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা ১৫ দলের মধ্যে ১৩টি দল অংশগ্রহণ করেছে। সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে আসে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশ, গণফ্রন্ট, ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), তৃনমুল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টি, মুসলিম লীগের একাংশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও গণফোরামের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন।

তবে এলডিপি, বিজেপি কমিউনিস্ট পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে  ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টি, মুসলিম লীগ বিএমএল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, কল্যাণ পার্টি ও খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়নি।