রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)
জামায়াত ইসলামীর বিরুদ্ধে রিট আবেদনের শুনানি আজ
- আপডেট সময় ১০:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৯০ বার পড়া হয়েছে
নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে আজ। এদিন জামায়াতে ইসলামীর আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি হতে পারে। একই সঙ্গে শুনানি মুলতবি রাখারও একটি আবেদন আজকের কার্যতালিকায় রয়েছে।
এ সংক্রান্ত আবেদনটি আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চে এটি শুনানি হওয়ার কথা।
গত ১৯ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর।
সেদিন শুরুতে জয়নাল আবেদীন আট সপ্তাহ সময় আবেদন করে বলেন, সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রস্তুতির জন্য সময় প্রয়োজন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বারবার সময় নিচ্ছেন কেন? এখানে সময় নেবেন আর অন্য কোর্টে মামলা করবেন, তা তো হতে পারে না। আমরা সবই দেখতে পাই।’
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরী এবং আরও দুজন গত ২৬ জুন আবেদনটি জমা দিয়েছিলেন। যাতে জামায়াতের আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতকে বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করতে না পারার ওপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।