জাতীয় সংসদ নির্বাচন
ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের বিরুদ্ধে ঈগলের কর্মীকে পেটানোর অভিযোগ
- আপডেট সময় ১০:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ২৯৭ বার পড়া হয়েছে
সাভারের আশুলিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের কর্মীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার শ্রীপুরে এসএস গেট এলাকায় ঈগল মার্কার কর্মীর ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ঈগল মার্কার কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
হামলায় আহত ঈগলের কর্মী আশুলিয়ার তালটেকি এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. আজিজুল হক (২৬) । তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের ঈগল প্রতীকের কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে শ্রীপুর এলাকায় ঈগলের পোস্টার লাগাতে গেলে বাধা দেন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার কর্মীরা। এ সময় প্রতিপক্ষের বাধা উপেক্ষা করে ঈগলের পোস্টার লাগাতে গেলে ট্রাক মার্কার ৩৫-৪০ জন কর্মী রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ঈগল মার্কার কর্মী আজিজুলকে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আজিজুলকে উদ্ধার করে প্রথমে সাভারের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের বেসরকারি সুপার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত আজিজুল বলেন, বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরে এসএস গেট এলাকায় ঈগল মার্কার পোস্টার লাগানোর সময় বাধা দেয় ট্রাক মার্কার প্রার্থী সাইফুলের লোকজন। পরে তাদের কথা না শুনে পোস্টার লাগাতে গেলে ৩৫-৪০ জন এলোপাতাড়ি আমাকে মারতে থাকে। তারা রড দিয়ে পিটিয়ে আমার দুই পা অচল করে দিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের ব্যক্তিগত সহকারী মনসুর আহমেদ বলেন, প্রতিপক্ষ ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে এই ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, মারধরের ঘটনায় একজন আটক আছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা একে অপরের আত্মীয়। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।