ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ১১:১১:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

ইহুদিবিদ্বেষ ও প্লেজারিজমের অভিযোগে পদত্যাগ করলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ক্লাইডেন গে। মাত্র ছয় মাস আগে দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় পদে থাকা প্রেসিডেন্ট ক্লাইডেন গে। মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে ক্লাইডেন গে লেখেন, তিনি পদত্যাগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফ্যাকাল্টি হিসেবে তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। তিনি লিখেছেন, যেহেতু আমি এখন ফ্যাকাল্টিতে ফিরে যাচ্ছি, তাই আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমি লক্ষ্য অর্জনে সবার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। তিনি আরো বলেন, জাতিগত বিদ্বেষ নিয়ে আমার মনোভাব ও কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা আমার জন্য কষ্টদায়ক ছিল। এজন্য আমাকে অনেক হুমকিও পেতে হয়েছে।

গে জানান, ‘ভারী হূদয় এবং হার্ভার্ডের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আমি জানাতে চাই, আমি প্রেসিডন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’ পদত্যাগপত্রে গে লেখেন, ঘৃণার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে, আমার দায়বদ্ধতার ওপর সন্দেহ করা হয়েছে, আমাকে ব্যক্তিগত ও বর্ণবাদী আচরণের মুখে পড়তে হয়েছে।

সম্প্রতি তাকে মার্কিন কংগ্রেসে ডেকে পাঠানো হয়। মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে যাওয়া নিয়ে এবং হার্ভার্ড ও এমআইটিতে পরিস্থিতির মোকাবিলা কী করে করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ইহুদিবিদ্বেষ ও হার্ভার্ডের কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে রিপাবলিকান সদস্য এলিসে স্তেফানিকের প্রশ্নের জবাব ঠিকভাবে দিতে না পারার জন্য রক্ষণশীলরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

ইসরাইল-হামাস সংঘাতের পর ক্লাইডেন গে-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ইহুদিদের এইভাবে হত্যার ডাক দেওয়া কি হার্ভার্ড স্কুলের কোড অব কন্ডাক্টের বিরোধী কিনা। গে জবাবে বলেন, এটা পরিপ্রেক্ষিতের ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, যখন স্পিচ বা বক্তব্য আচরণকে ছাড়িয়ে যায়, তখন তা আমাদের নীতি ভঙ্গ করে।

তার এই জবাবে রক্ষণশীলরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন। হোয়াইট হাউজ এই বক্তব্যের নিন্দা করে। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে। গে পরে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, কংগ্রেস সদস্যদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। গে জানান, তখন আমার উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কথা বলা উচিত ছিল। যদিও ইহুদিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ডাক দেওয়া এবং ইহুদি ছাত্রদের হুমকি দেওয়ার কোনো জায়গা হার্ভার্ডে নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

পদত্যাগ করলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় ১১:১১:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

ইহুদিবিদ্বেষ ও প্লেজারিজমের অভিযোগে পদত্যাগ করলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ক্লাইডেন গে। মাত্র ছয় মাস আগে দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় পদে থাকা প্রেসিডেন্ট ক্লাইডেন গে। মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে ক্লাইডেন গে লেখেন, তিনি পদত্যাগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফ্যাকাল্টি হিসেবে তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। তিনি লিখেছেন, যেহেতু আমি এখন ফ্যাকাল্টিতে ফিরে যাচ্ছি, তাই আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমি লক্ষ্য অর্জনে সবার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। তিনি আরো বলেন, জাতিগত বিদ্বেষ নিয়ে আমার মনোভাব ও কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা আমার জন্য কষ্টদায়ক ছিল। এজন্য আমাকে অনেক হুমকিও পেতে হয়েছে।

গে জানান, ‘ভারী হূদয় এবং হার্ভার্ডের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আমি জানাতে চাই, আমি প্রেসিডন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’ পদত্যাগপত্রে গে লেখেন, ঘৃণার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে, আমার দায়বদ্ধতার ওপর সন্দেহ করা হয়েছে, আমাকে ব্যক্তিগত ও বর্ণবাদী আচরণের মুখে পড়তে হয়েছে।

সম্প্রতি তাকে মার্কিন কংগ্রেসে ডেকে পাঠানো হয়। মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে যাওয়া নিয়ে এবং হার্ভার্ড ও এমআইটিতে পরিস্থিতির মোকাবিলা কী করে করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ইহুদিবিদ্বেষ ও হার্ভার্ডের কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে রিপাবলিকান সদস্য এলিসে স্তেফানিকের প্রশ্নের জবাব ঠিকভাবে দিতে না পারার জন্য রক্ষণশীলরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

ইসরাইল-হামাস সংঘাতের পর ক্লাইডেন গে-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ইহুদিদের এইভাবে হত্যার ডাক দেওয়া কি হার্ভার্ড স্কুলের কোড অব কন্ডাক্টের বিরোধী কিনা। গে জবাবে বলেন, এটা পরিপ্রেক্ষিতের ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, যখন স্পিচ বা বক্তব্য আচরণকে ছাড়িয়ে যায়, তখন তা আমাদের নীতি ভঙ্গ করে।

তার এই জবাবে রক্ষণশীলরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন। হোয়াইট হাউজ এই বক্তব্যের নিন্দা করে। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে। গে পরে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, কংগ্রেস সদস্যদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। গে জানান, তখন আমার উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কথা বলা উচিত ছিল। যদিও ইহুদিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ডাক দেওয়া এবং ইহুদি ছাত্রদের হুমকি দেওয়ার কোনো জায়গা হার্ভার্ডে নেই।