ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘১৪ ও ১৮ সালে আমরা ভোট ডাকাতি করেছি’: আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৩:৪০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আমরা ভোট ডাকাতি করেছি- এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া।

তার ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বিজয়ী হন। এবারও তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) মনোনয়ন পেয়েছেন। আগের দুই সংসদ নির্বাচনে রিটন বড়ুয়া নেজামউদ্দিন নদভীর পক্ষে কাজ করেন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের পক্ষে কাজ করছেন। আবদুল মোতালেব সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। নির্বাচনে তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

গত রোববার দিবাগত রাত আটটার দিকে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দিরপাড়ায় ঈগলের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে রিটন বড়ুয়া নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদের এমপির কথা বলছি। আপনাকে আমি একটি কথা বলতে চাই।

২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা ভোট ডাকাতি করেছি। সোজা কথা। আমরা এমনে আসি নাই। ২০১৮ সালেও আমরা ভোট ডাকাতি করেছি। এখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কথা বারবার বলেন। আমাদের বহির্বিশ্ব চাপ দিচ্ছে। আমাদের একজনের পায়ে একজন না লেগে সোজা লাইন ধরে ভোট দিতে হবে। এটা বহির্বিশ্বকে দেখাতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

‘১৪ ও ১৮ সালে আমরা ভোট ডাকাতি করেছি’: আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল

আপডেট সময় ০৩:৪০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আমরা ভোট ডাকাতি করেছি- এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া।

তার ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বিজয়ী হন। এবারও তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) মনোনয়ন পেয়েছেন। আগের দুই সংসদ নির্বাচনে রিটন বড়ুয়া নেজামউদ্দিন নদভীর পক্ষে কাজ করেন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের পক্ষে কাজ করছেন। আবদুল মোতালেব সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। নির্বাচনে তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

গত রোববার দিবাগত রাত আটটার দিকে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দিরপাড়ায় ঈগলের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে রিটন বড়ুয়া নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদের এমপির কথা বলছি। আপনাকে আমি একটি কথা বলতে চাই।

২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা ভোট ডাকাতি করেছি। সোজা কথা। আমরা এমনে আসি নাই। ২০১৮ সালেও আমরা ভোট ডাকাতি করেছি। এখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কথা বারবার বলেন। আমাদের বহির্বিশ্ব চাপ দিচ্ছে। আমাদের একজনের পায়ে একজন না লেগে সোজা লাইন ধরে ভোট দিতে হবে। এটা বহির্বিশ্বকে দেখাতে হবে।’