ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমাদের ভোট হয়েছে রাত তিনটায় : কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ১১:২২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪০ বার পড়া হয়েছে

কৃষকলীগ নেতা বিশ্বনাথ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে রাত তিনটায় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের ভোট হয়েছে রাত তিনটার সময়। আমাদের যে আশ্বস্ত করেছিল, সেই আশ্বস্ত রাখেনি। বেলা ১২টার সময় আমাকে জানানো হয়েছে ভোট হয়ে গেছে। আপনি ভোট বর্জন করেন, আমি করিনি। কারণ, আমি একটি দলের (কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের) জয়েন্ট সেক্রেটারি।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। তার আদর্শের রাজনীতি করেছি। জীবনটাকে উৎসর্গ করেছি। উনিও (শেখ হাসিনা) জানেন এই ঘটনা ঘটেছে। যারাই করেছে অর্থের জন্য আগের রাতে ভোটটা কমপ্লিট করেছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বদরগঞ্জ উপজেলার মোস্তফাপুর সরকারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

সবকিছু জেনে-বুঝেও ভোট বর্জন করেননি উল্লেখ করে বিশ্বনাথ সরকার বলেন, অনেকগুলো ভোটকেন্দ্রে কোনো এজেন্ট ছিল না। আমার এজেন্টদের জোর করে বের করে দিয়েছে। প্রকাশ্যে দশ বছরের ছেলে একসঙ্গে ২৫-২৬টা করে সিল মেরেছে। আমার চোখে আমি দেখেছি। ওই মুহূর্তে আমার কিছুই করার ছিল না। আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারাও এসব দেখেছেন। আপনারা সবাই জানেন আসলে কী হয়েছে।

এসময় কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সব কর্মীর দায়ভার নিয়ে বলছি, যেকোনো কিছু মোকাবিলায় আমি বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের যেকোনো সমস্যায় পাশে আছি, থাকবো।

কর্মী সমাবেশে বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজার রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, তারাগঞ্জের আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ভোট হয়েছে রাত তিনটায় : কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ

আপডেট সময় ১১:২২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে রাত তিনটায় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের ভোট হয়েছে রাত তিনটার সময়। আমাদের যে আশ্বস্ত করেছিল, সেই আশ্বস্ত রাখেনি। বেলা ১২টার সময় আমাকে জানানো হয়েছে ভোট হয়ে গেছে। আপনি ভোট বর্জন করেন, আমি করিনি। কারণ, আমি একটি দলের (কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের) জয়েন্ট সেক্রেটারি।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। তার আদর্শের রাজনীতি করেছি। জীবনটাকে উৎসর্গ করেছি। উনিও (শেখ হাসিনা) জানেন এই ঘটনা ঘটেছে। যারাই করেছে অর্থের জন্য আগের রাতে ভোটটা কমপ্লিট করেছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বদরগঞ্জ উপজেলার মোস্তফাপুর সরকারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

সবকিছু জেনে-বুঝেও ভোট বর্জন করেননি উল্লেখ করে বিশ্বনাথ সরকার বলেন, অনেকগুলো ভোটকেন্দ্রে কোনো এজেন্ট ছিল না। আমার এজেন্টদের জোর করে বের করে দিয়েছে। প্রকাশ্যে দশ বছরের ছেলে একসঙ্গে ২৫-২৬টা করে সিল মেরেছে। আমার চোখে আমি দেখেছি। ওই মুহূর্তে আমার কিছুই করার ছিল না। আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারাও এসব দেখেছেন। আপনারা সবাই জানেন আসলে কী হয়েছে।

এসময় কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সব কর্মীর দায়ভার নিয়ে বলছি, যেকোনো কিছু মোকাবিলায় আমি বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের যেকোনো সমস্যায় পাশে আছি, থাকবো।

কর্মী সমাবেশে বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজার রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, তারাগঞ্জের আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রমুখ।