ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবরি মসজিদ থেকে রামমন্দির : ৪৯৬ বছরের ইতিহাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ১২:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহিত

আইনি লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে রামমন্দিরের। আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল ১৩৯ বছর আগে। আর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে টানাপড়েনটা চলছিল তারও অনেক আগে থেকে। পাঁচ শতক ধরে চলতে থাকা এই টানাপড়েনের পর আসে সুপ্রিম কোর্টের রায়।

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি হওয়ার ৪৯১ বছর পরে শীর্ষ আদালতের বিচারকেরা জানান, ‘হিন্দুদের বিশ্বাসের রামজন্মভূমি-তে মন্দিরই হবে।’ গত পাঁচ শতাব্দীতে কত বার, কত রকম বাঁক নিল রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক? কোন পথ ধরে তা পৌঁছল রামমন্দিরের উদ্বোধন পর্যন্ত? দেখে নেয়া যাক এক ঝলকে :

১৫২৮ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি করালেন মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মির বাকি। বছর দু’য়েক আগেই ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন জহিরুদ্দিন মহম্মদ বাবর।

১৮৮৫ সালে মুঘল যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘটে গিয়েছে সিপাহি বিদ্রোহও। ভারতে ব্রিটিশ রাজ সুপ্রতিষ্ঠিত। ফৈজাবাদের জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদের বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে শামিয়ানা তৈরি করে রামলালার মূর্তি স্থাপনের অবেদন জানালেন মহন্ত রঘুবীর দাস। আর্জি খারিজ করলো ব্রিটিশ আদালত।

১৯৪৯ সালে বছর দেড়েক আগে ভারত স্বাধীন হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, শীতের রাত। বিতর্কিত কাঠামোর মূল গম্বুজের নিচে রামলালার মূর্তি স্থাপিত হলো। মন্দিরপন্থীরা দাবি করলেন, ‘রামলালা প্রকট হয়েছেন’।

১৯৫০ সালে গোপাল সিমলা এবং মহন্ত রামচন্দ্র দাস ফৈজাবাদ আদালতে আলাদা আলাদা মামলা করে বিতর্কিত স্থানে রামলালার পূজোর অনুমতি চাইলেন।

১৯৫৯ সালে বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করল নির্মোহী আখড়া।

১৯৮১ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ। বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হলো উত্তরপ্রদেশ সেন্ট্রাল সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড।

১৯৮৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত কাঠামোর দরজা হিন্দুদের উপাসনার জন্য খুলে দিতে বললো ফৈজাবাদের আদালত।

১৯৮৯ সালের ১৪ অগস্ট বিতর্কিত জমিতে স্থিতাবস্থা বহাল রাখার নির্দেশ দিলো ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত তারিখগুলোর অন্যতম। করসেবকদের হামলায় ধূলিসাৎ হলো বাবরি মসজিদ।

১৯৯৩ সালের ৩ এপ্রিল সংসদে আইন পাশ করিয়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির দখল নিলো কেন্দ্রীয় সরকার।

১৯৯৪ সালের ২৪ অক্টোবর ইতিহাসবিদ ইসমাইল ফারুকির মামলায় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জানান, ‘কোনো একটা মসজিদকে ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ধরা হবে না।’

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় দিলো ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। তিন বিচারকের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের উপর দাঁড়িয়ে জানান, ‘বিতর্কিত জমি তিন ভাগে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালা বিরাজমানের মধ্যে।’

২০১১ সালের ৯ মে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলো সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৭ সালের ২১ মার্চ দেশের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর বলেন, ‘আদালতের বাইরেই মীমাংসা করে নেয়া হোক অযোধ্যা বিতর্কের।’

২০১৭ সালের ৭ অগস্ট অযোধ্যা মামলার শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করলো সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড জানায়, ‘অযোধ্যায় মন্দির বানালে আপত্তি নেই। পরিবর্তে লখনউতে মসজিদ বানিয়ে দেয়া হোক।’

২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চে আবার নতুন করে শুরু অযোধ্যা মামলার শুনানি।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর নতুন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে আবার নতুন করে তিন বিচরপতির বেঞ্চ গঠন হলো।

২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে এবার তৈরি হলো পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। কারো সরে দাঁড়ানো, কারো অসুস্থতার কারণে সেই বেঞ্চে পরে কিছু পরিবর্তনও হলো।

২০১৯ সালের ৮ মার্চ বিচারপতি এফএম কলিফুল্লা, আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এবং আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চুকে নিয়ে মধ্যস্থতা প্যানেল তৈরি করে দিলো সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৯ সালের ২ অগস্ট মধ্যস্থতার চেষ্টা ব্যর্থ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানালেন, ‘৬ অগস্ট থেকে রোজ শুনানি হবে অযোধ্যা মামলার।’

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মধ্যস্থতা কমিটিকে আবার আলোচনা শুরু করতে বললো সুপ্রিম কোর্ট। এক মাসের মধ্যে আলোচনা শেষ করার সময় বেঁধে দেয়া হলো।

২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বললেন, ‘অনেক হয়েছে, আজই শেষ করতে হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি।’

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, ‘অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে হিন্দুদের মন্দির তৈরি হবে। বিকল্প পাঁচ একর জমি দেয়া হবে মুসলিম সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে।’

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর অযোধ্যায় জমি বিবাদ মামলার রায় নিয়ে একাধিক আবেদন খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট।

২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠনে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের অনুমোদন। রামমন্দির নির্মাণে তদারকি করছে ওই ট্রাস্ট। লোকসভায় অনুমোদনের কথা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যার সোহাওয়াল তহশিলে পাঁচ একর জমিতে মসজিদ তৈরির জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রদত্ত জমি গ্রহণ উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের।

২০২০ সালের ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগে ভূমিপূজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এরপর রুপার ইট দিয়ে হলো রামমন্দিরের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস।

২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি বহু বিতর্ক এবং আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে উদ্বোধন হচ্ছে রামমন্দিরের। উদ্বোধন হলো রামলালার বিগ্রহে। মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় হাজির লাখ লাখ মানুষ। তারাও সাক্ষী থাকলেন ইতিহাস এবং পরিবর্তনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাবরি মসজিদ থেকে রামমন্দির : ৪৯৬ বছরের ইতিহাস

আপডেট সময় ১২:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

আইনি লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে রামমন্দিরের। আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল ১৩৯ বছর আগে। আর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে টানাপড়েনটা চলছিল তারও অনেক আগে থেকে। পাঁচ শতক ধরে চলতে থাকা এই টানাপড়েনের পর আসে সুপ্রিম কোর্টের রায়।

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি হওয়ার ৪৯১ বছর পরে শীর্ষ আদালতের বিচারকেরা জানান, ‘হিন্দুদের বিশ্বাসের রামজন্মভূমি-তে মন্দিরই হবে।’ গত পাঁচ শতাব্দীতে কত বার, কত রকম বাঁক নিল রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক? কোন পথ ধরে তা পৌঁছল রামমন্দিরের উদ্বোধন পর্যন্ত? দেখে নেয়া যাক এক ঝলকে :

১৫২৮ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি করালেন মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মির বাকি। বছর দু’য়েক আগেই ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন জহিরুদ্দিন মহম্মদ বাবর।

১৮৮৫ সালে মুঘল যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘটে গিয়েছে সিপাহি বিদ্রোহও। ভারতে ব্রিটিশ রাজ সুপ্রতিষ্ঠিত। ফৈজাবাদের জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদের বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে শামিয়ানা তৈরি করে রামলালার মূর্তি স্থাপনের অবেদন জানালেন মহন্ত রঘুবীর দাস। আর্জি খারিজ করলো ব্রিটিশ আদালত।

১৯৪৯ সালে বছর দেড়েক আগে ভারত স্বাধীন হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, শীতের রাত। বিতর্কিত কাঠামোর মূল গম্বুজের নিচে রামলালার মূর্তি স্থাপিত হলো। মন্দিরপন্থীরা দাবি করলেন, ‘রামলালা প্রকট হয়েছেন’।

১৯৫০ সালে গোপাল সিমলা এবং মহন্ত রামচন্দ্র দাস ফৈজাবাদ আদালতে আলাদা আলাদা মামলা করে বিতর্কিত স্থানে রামলালার পূজোর অনুমতি চাইলেন।

১৯৫৯ সালে বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করল নির্মোহী আখড়া।

১৯৮১ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ। বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হলো উত্তরপ্রদেশ সেন্ট্রাল সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড।

১৯৮৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত কাঠামোর দরজা হিন্দুদের উপাসনার জন্য খুলে দিতে বললো ফৈজাবাদের আদালত।

১৯৮৯ সালের ১৪ অগস্ট বিতর্কিত জমিতে স্থিতাবস্থা বহাল রাখার নির্দেশ দিলো ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত তারিখগুলোর অন্যতম। করসেবকদের হামলায় ধূলিসাৎ হলো বাবরি মসজিদ।

১৯৯৩ সালের ৩ এপ্রিল সংসদে আইন পাশ করিয়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির দখল নিলো কেন্দ্রীয় সরকার।

১৯৯৪ সালের ২৪ অক্টোবর ইতিহাসবিদ ইসমাইল ফারুকির মামলায় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জানান, ‘কোনো একটা মসজিদকে ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ধরা হবে না।’

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় দিলো ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। তিন বিচারকের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের উপর দাঁড়িয়ে জানান, ‘বিতর্কিত জমি তিন ভাগে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালা বিরাজমানের মধ্যে।’

২০১১ সালের ৯ মে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলো সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৭ সালের ২১ মার্চ দেশের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর বলেন, ‘আদালতের বাইরেই মীমাংসা করে নেয়া হোক অযোধ্যা বিতর্কের।’

২০১৭ সালের ৭ অগস্ট অযোধ্যা মামলার শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করলো সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড জানায়, ‘অযোধ্যায় মন্দির বানালে আপত্তি নেই। পরিবর্তে লখনউতে মসজিদ বানিয়ে দেয়া হোক।’

২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চে আবার নতুন করে শুরু অযোধ্যা মামলার শুনানি।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর নতুন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে আবার নতুন করে তিন বিচরপতির বেঞ্চ গঠন হলো।

২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে এবার তৈরি হলো পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। কারো সরে দাঁড়ানো, কারো অসুস্থতার কারণে সেই বেঞ্চে পরে কিছু পরিবর্তনও হলো।

২০১৯ সালের ৮ মার্চ বিচারপতি এফএম কলিফুল্লা, আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এবং আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চুকে নিয়ে মধ্যস্থতা প্যানেল তৈরি করে দিলো সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৯ সালের ২ অগস্ট মধ্যস্থতার চেষ্টা ব্যর্থ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানালেন, ‘৬ অগস্ট থেকে রোজ শুনানি হবে অযোধ্যা মামলার।’

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মধ্যস্থতা কমিটিকে আবার আলোচনা শুরু করতে বললো সুপ্রিম কোর্ট। এক মাসের মধ্যে আলোচনা শেষ করার সময় বেঁধে দেয়া হলো।

২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বললেন, ‘অনেক হয়েছে, আজই শেষ করতে হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি।’

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, ‘অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে হিন্দুদের মন্দির তৈরি হবে। বিকল্প পাঁচ একর জমি দেয়া হবে মুসলিম সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে।’

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর অযোধ্যায় জমি বিবাদ মামলার রায় নিয়ে একাধিক আবেদন খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট।

২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠনে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের অনুমোদন। রামমন্দির নির্মাণে তদারকি করছে ওই ট্রাস্ট। লোকসভায় অনুমোদনের কথা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যার সোহাওয়াল তহশিলে পাঁচ একর জমিতে মসজিদ তৈরির জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রদত্ত জমি গ্রহণ উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের।

২০২০ সালের ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগে ভূমিপূজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এরপর রুপার ইট দিয়ে হলো রামমন্দিরের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস।

২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি বহু বিতর্ক এবং আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে উদ্বোধন হচ্ছে রামমন্দিরের। উদ্বোধন হলো রামলালার বিগ্রহে। মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় হাজির লাখ লাখ মানুষ। তারাও সাক্ষী থাকলেন ইতিহাস এবং পরিবর্তনের।