৭৪ আরোহী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
- আপডেট সময় ০৮:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান ৭৪ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের ৬৫ জন যুদ্ধবন্দী রয়েছে। ইউক্রেনের নিক্ষেপ করা তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ভূপাতিত হয়।
আরেকটি বিমান ৮০ জন যুদ্ধবন্দী নিয়ে একই স্থানে যাচ্ছিল। কিন্তু এই বিমানের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেটি ফিরে যায়। ইউক্রেনের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে এসব লোককে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে রুশ সূত্র জানিয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলগোরোড সীমান্ত অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্তত ৬৫ ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দী নিহত হয়েছে।
রাশিয়ার বার্তাসংস্থা রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে, ছয়জন ক্রুসহ আরো নয়জন বিমানটিতে ছিল।
রুশ পার্লামেন্টের এক সদস্যে দাবি, ইউক্রেনের ছোঁড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সামরিক পরিবহন বিমানটি ভূপাতিত হয়েছে।
ডুমা রাজ্যের এমপি আন্দ্রেই ভ্যালেরিভিচ কার্তাপোলভ একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। তবে তিনি তার দাবিতে কোনো তথ্যের উৎস জানাননি বা প্রমাণ দেননি।
ইলিউশিন-৭৬ বিমানটিতে কী ছিল তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন রয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো বলেছে, বিমানটিতে ইউক্রেনের ৬৫ সেনা সদস্য ছিল এবং বন্দী বিনিময়ের আগে তাদের বেলগোরোডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেন সূত্র দাবি করেছে, বিমানটি এ-৩০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছিল।
কার্তাপোলভ আরো বলেন, ‘ইউক্রেন আসন্ন বিনিময় সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত ছিল এবং বন্দীদের কিভাবে ফেরত দেয়া হবে সে সম্পর্কে অবহিত ছিল। কিন্তু ইলিউশিন-৭৬ বিমানটিতে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্যাট্রিয়ট নাকি জার্মান-নির্মিত আইআরআইএস-টিএস তা তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।
তবে বিমাণ ভূপাতিত করার বিষয়ে এখনো ইউক্রেনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাস জানায়, বেলগোরোড অঞ্চলের কোরোচা জেলার ইয়াবলোনোভো গ্রাম থেকে বিমানটি পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয়।
ইয়াবলোনোভোর দিমিত্রি সোলুনস্কি চার্চের রেক্টর রেভ জর্জি তাসকে জানায়, ‘গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ এটি গ্রামের বাইরের একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয়েছিল।’
সূত্র : বিবিসি, সিএনএন