ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ঘুষ দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ’

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৮:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম রবিউল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: সংগৃৃহীত

মসজিদ করতেও রাজউক কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ঘুষ দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে। সেই মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত।

মঙ্গলবার (৩০) জানুয়ারি সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

দুর্নীতিতে নিমজ্জিত না হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে। বালিশকাণ্ডের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে এজন্য দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার পরিকল্পনা খুব সিম্পল। আমি দক্ষতা, যোগ্যতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। এটা যদি আমি করতে পারি, এটাই আমার চ্যালেঞ্জ, এটাই আমার পরিকল্পনা।

রাজউকে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে আমরা নজর দেব। সেই বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগে অনিয়মসহ সেখানকার নানা অসঙ্গতি খতিয়ে দেখবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অফিসারদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে, প্রয়োজনবোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি অনিয়মগুলো দূর করা সম্ভব হয়, সেটা আমরা করবো। আমাকে সময় দেন, আমি করবো।

অপরিকল্পিত নগরায়ন অথবা অপরিকল্পিত গ্রামায়ণ বা গ্রামীণ আবাসন- দুটোই বন্ধ করতে হবে। মানহীন ও অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘ঘুষ দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ’

আপডেট সময় ০৮:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

মসজিদ করতেও রাজউক কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ঘুষ দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে। সেই মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত।

মঙ্গলবার (৩০) জানুয়ারি সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

দুর্নীতিতে নিমজ্জিত না হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে। বালিশকাণ্ডের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে এজন্য দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার পরিকল্পনা খুব সিম্পল। আমি দক্ষতা, যোগ্যতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। এটা যদি আমি করতে পারি, এটাই আমার চ্যালেঞ্জ, এটাই আমার পরিকল্পনা।

রাজউকে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে আমরা নজর দেব। সেই বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগে অনিয়মসহ সেখানকার নানা অসঙ্গতি খতিয়ে দেখবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অফিসারদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে, প্রয়োজনবোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি অনিয়মগুলো দূর করা সম্ভব হয়, সেটা আমরা করবো। আমাকে সময় দেন, আমি করবো।

অপরিকল্পিত নগরায়ন অথবা অপরিকল্পিত গ্রামায়ণ বা গ্রামীণ আবাসন- দুটোই বন্ধ করতে হবে। মানহীন ও অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।