অবিভক্ত পকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলীর কবরের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- আপডেট সময় ০৮:০৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ২১৭ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ায় পকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলীর কবর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে তা উচ্ছেদ করা হয়। বগুড়া নবাব আলতাব আলী সুপার মার্কেট অবিভক্ত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ আলী ও তার বাঙালি স্ত্রী হামিদা বানুর কবরের মাঝে চারটি পিলার বসিয়ে কালজয়ী এই বাঙালি নেতার ছাদ দিয়ে কবর ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
বগুড়া পৌরসভার অনুমোদিত নকশার বাইরে স্থাপনা করার কোন এখতিয়ার না থাকলেও মার্কেট কর্তৃপক্ষ কবরের উপর ছাদ দিয়ে উর্দ্ধমুখি সম্প্রসারণের কাজ করে চলেছে। লোক চক্ষুর আড়ালে কাজ করার জন্য কয়েক দিন আগে কবর ঘিরে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত শেষ করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা হচ্ছে।
সৈয়দ মোহাম্মদ আলী ছিলেন বাঙালি রাজনীতিবিদ। তার নাম সৈয়দ মোহাম্মদ আলী হলেও তিনি ‘মোহাম্মদ আলী বগুড়া’ নামেই পরিচিত। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত। মোহাম্মদ আলী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৩৯ সালে বর্তমান সরকারি আজিজুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রথম কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ১৯৫৩ সালের আগস্টে। এ সময় তিনি কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার জন্য দিল্লিতে যান এবং লোকসভায় তাকে অভিবাদন দেয়া হয়। ১৯৬৩ সালের ২৩শে জানুয়ারি রাত ৯টা ৫ মিনিটে মহান এই ব্যক্তি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মোহাম্মদ আলীর কবরসহ সেখানে আরও চারটি কবর রয়েছে বলে জানা যায়। বগুড়া শহরে আলতাফ আলী মার্কেটে সেই কবর গুলোর উপর পিলার তুলে স্থাপনা তৈরি করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় মেয়র ও কাউন্সিলর সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবনটি ভেঙ্গে বগুড়ার ঐতিহ্য স্থাপনাটি আবার ফিরিয়ে দিতে চায় বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, পৌরসভা থেকে মার্কেটের যে নকশা অনুমোদন করা হয়েছে তাতে কবরের উপর ছাদ বা মার্কেট নির্মানের বিষয়টি নাই। নকশার বাইরে এটি করা অবৈধ।
তিনি বলেন, এ জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলেন প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করা হবে।