ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাবিতে ধর্ষণের ঘটনার দায় ছাত্রলীগের নয়: ইনান

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:-
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৩২ বার পড়া হয়েছে

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা ধর্ষণের ঘটনার দায় ছাত্রলীগের নয়। ব্যক্তির দায় কেন ছাত্রলীগ নেবে?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা ধর্ষণের ঘটনার দায় ছাত্রলীগের নয় বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এরই মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ধর্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। এই ধরনের ঘটনার যেনো পুনরাবৃত্তি না হয় তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া ঘটনার তদন্তে চার সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সনদ স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, মো. হাসানুজ্জামান ও এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। তাদের মধ্যে শাহ পরান ছাড়া সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে মুরাদ, সাব্বির ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
 
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়া থানার মামলায় গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেয়া অপর আসামিরা হলেন- সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।

এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান। অপরদিকে আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করা হয়।
 
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে হল সংলগ্ন পাশের জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাবিতে ধর্ষণের ঘটনার দায় ছাত্রলীগের নয়: ইনান

আপডেট সময় ১০:২৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা ধর্ষণের ঘটনার দায় ছাত্রলীগের নয়। ব্যক্তির দায় কেন ছাত্রলীগ নেবে?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা ধর্ষণের ঘটনার দায় ছাত্রলীগের নয় বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এরই মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ধর্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। এই ধরনের ঘটনার যেনো পুনরাবৃত্তি না হয় তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া ঘটনার তদন্তে চার সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সনদ স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, মো. হাসানুজ্জামান ও এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। তাদের মধ্যে শাহ পরান ছাড়া সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে মুরাদ, সাব্বির ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
 
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়া থানার মামলায় গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেয়া অপর আসামিরা হলেন- সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।

এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান। অপরদিকে আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করা হয়।
 
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে হল সংলগ্ন পাশের জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।