ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপীবাগে ট্রেনের আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া সেই যাত্রী অবিবাহিত ছাত্র ছিল

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৫:২১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

ট্রেনের জানালায় ঝুলে পুড়ে মারা যাওয়া সেই আবু তালহা। ছবি: সংগৃহিত

রাজধানী ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজবাড়ীর নিখোঁজ আবু তালহার মরদেহ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের কাছে আজ বৃহস্পতিবার তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে। ঢাকা মেডিকেলের সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীরা তখন জানিয়েছিলেন, তারা ওই যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনিও বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের জানালাটা অর্ধেক বন্ধ থাকায় তাকে আর বের করা সম্ভব হয়নি। জানালায় অর্ধেক বের হওয়া অবস্থায় হাজারো মানুষের সামনে পুড়ে ছাই হন ওই যুবক।

মৃত আবু তালহা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামে। আবু তালহা সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেদিন আগুনে পুড়ে জানালায় ঝুলে ছিলেন এক যাত্রী।

ট্রেনের জানালা দিয়ে হাত বের করে বাঁচার চেষ্টা সেই অবিবাহিত যুবকের। ছবি: সংগৃহিত

ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীরা তখন জানিয়েছিলেন, তারা ওই যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনিও বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের জানালাটা অর্ধেক বন্ধ থাকায় তাকে আর বের করা সম্ভব হয়নি। জানালায় অর্ধেক বের হওয়া অবস্থায় হাজারো মানুষের সামনে পুড়ে ছাই হন ওই যুবক।

এদিকে সেদিন ওই যুবকের গায়ে আগুন লাগার পর স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছিলো, তিনি তার স্ত্রী-সন্তানকে পুড়ে মারা যেতে দেখেছেন। তাই তিনিও আর বের হতে চাননি! এটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।

আব্দুল হক বলেন, তালহা গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশ্যে ফরিদপুর স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করেছিল। কিন্তু কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের আগে গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাইনি আমরা। প্রায় ১ মাস ৯ দিন পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে আমাকে ফোন দিয়ে আবু তালহার মরদেহ শনাক্তের বিষয়টি জানিয়েছে। কিছু আইনি জটিলতা শেষে আজ মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে কর্তৃপক্ষ। মরদেহ আমরা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসব।সেখানে জানাজা করে মরদেহ দাফন করা হবে।

তিনি দাবি করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেনের জানালার বাইরে দুই হাত বের করে বাঁচার আকুতি করা যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল সেটিই ছিল আমার ছেলে আবু তালহা। একটা নিষ্পাপ ছেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে কী মধ্যে দিয়ে যন্ত্রণার মারা গেল। কী দোষ ছিল আমার তালহার?

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপীবাগে ট্রেনের আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া সেই যাত্রী অবিবাহিত ছাত্র ছিল

আপডেট সময় ০৫:২১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজধানী ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজবাড়ীর নিখোঁজ আবু তালহার মরদেহ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের কাছে আজ বৃহস্পতিবার তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে। ঢাকা মেডিকেলের সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীরা তখন জানিয়েছিলেন, তারা ওই যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনিও বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের জানালাটা অর্ধেক বন্ধ থাকায় তাকে আর বের করা সম্ভব হয়নি। জানালায় অর্ধেক বের হওয়া অবস্থায় হাজারো মানুষের সামনে পুড়ে ছাই হন ওই যুবক।

মৃত আবু তালহা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামে। আবু তালহা সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেদিন আগুনে পুড়ে জানালায় ঝুলে ছিলেন এক যাত্রী।

ট্রেনের জানালা দিয়ে হাত বের করে বাঁচার চেষ্টা সেই অবিবাহিত যুবকের। ছবি: সংগৃহিত

ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীরা তখন জানিয়েছিলেন, তারা ওই যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনিও বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের জানালাটা অর্ধেক বন্ধ থাকায় তাকে আর বের করা সম্ভব হয়নি। জানালায় অর্ধেক বের হওয়া অবস্থায় হাজারো মানুষের সামনে পুড়ে ছাই হন ওই যুবক।

এদিকে সেদিন ওই যুবকের গায়ে আগুন লাগার পর স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছিলো, তিনি তার স্ত্রী-সন্তানকে পুড়ে মারা যেতে দেখেছেন। তাই তিনিও আর বের হতে চাননি! এটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।

আব্দুল হক বলেন, তালহা গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশ্যে ফরিদপুর স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করেছিল। কিন্তু কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের আগে গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাইনি আমরা। প্রায় ১ মাস ৯ দিন পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে আমাকে ফোন দিয়ে আবু তালহার মরদেহ শনাক্তের বিষয়টি জানিয়েছে। কিছু আইনি জটিলতা শেষে আজ মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে কর্তৃপক্ষ। মরদেহ আমরা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসব।সেখানে জানাজা করে মরদেহ দাফন করা হবে।

তিনি দাবি করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেনের জানালার বাইরে দুই হাত বের করে বাঁচার আকুতি করা যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল সেটিই ছিল আমার ছেলে আবু তালহা। একটা নিষ্পাপ ছেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে কী মধ্যে দিয়ে যন্ত্রণার মারা গেল। কী দোষ ছিল আমার তালহার?