ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে আগুন

বোনসহ আগুনে পুড়ে মারা গেলেন ব্যাংক কর্মকর্তা দোলা

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৭:৫৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা মেহরান কবির দোলা

বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা গেছেন আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা মেহরান কবির দোলা এবং তার ছোট বোন মাইশা কবির মাহি।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দোলার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার পরিচিতদের একজন হাসান বাপ্পি বলেন, যতদূর জানি বোনকে নিয়ে ভবনটির কোনো একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন দোলা আপু। সেখানে আগুন লাগলে আটকা পড়ে বোনসহ মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
 
দোলা প্রসঙ্গে বাপ্পি আরও বলেন, ‘খুব হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন আপু। এত ভালো মনের মিশুক মানুষ খুব কম দেখেছি। তার স্বামী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে আছেন। এতদ্রুত আর এভাবে আপু চলে যাবেন এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি।’

দোলার মৃত্যু প্রসঙ্গে বাপ্পি বলেন, ‘আজকে দোলা আপু চাকরির তিন বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ওই ভবনের রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। উদ্‌যাপন যে নিমেষেই বেদনায় নিল হবে কে জানত।’
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দোলা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল থেকে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। দোলার বোন মাহি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দোলাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। রাজধানীর এজিবি কলোনিতে থাকতেন তারা।
 
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই। ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ওই ভবনটিতে পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও রয়েছে।
 
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতের পর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢামেকে ভর্তি আছেন আরও ২২ জন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে আগুন

বোনসহ আগুনে পুড়ে মারা গেলেন ব্যাংক কর্মকর্তা দোলা

আপডেট সময় ০৭:৫৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা গেছেন আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা মেহরান কবির দোলা এবং তার ছোট বোন মাইশা কবির মাহি।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দোলার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার পরিচিতদের একজন হাসান বাপ্পি বলেন, যতদূর জানি বোনকে নিয়ে ভবনটির কোনো একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন দোলা আপু। সেখানে আগুন লাগলে আটকা পড়ে বোনসহ মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
 
দোলা প্রসঙ্গে বাপ্পি আরও বলেন, ‘খুব হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন আপু। এত ভালো মনের মিশুক মানুষ খুব কম দেখেছি। তার স্বামী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে আছেন। এতদ্রুত আর এভাবে আপু চলে যাবেন এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি।’

দোলার মৃত্যু প্রসঙ্গে বাপ্পি বলেন, ‘আজকে দোলা আপু চাকরির তিন বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ওই ভবনের রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। উদ্‌যাপন যে নিমেষেই বেদনায় নিল হবে কে জানত।’
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দোলা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল থেকে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে ব্যাংকের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। দোলার বোন মাহি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দোলাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। রাজধানীর এজিবি কলোনিতে থাকতেন তারা।
 
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই। ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ওই ভবনটিতে পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও রয়েছে।
 
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতের পর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢামেকে ভর্তি আছেন আরও ২২ জন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।