ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রী হলের সীমানা দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় ধরে চলে ওই সংঘর্ষ। একপর্যায়ে বিভিন্ন হল থেকে স্ট্যাম্প, ব্যাট, সাইকেলের চেইন, লাঠিসোঠা এবং দেশি অস্ত্র হাতে ঘটনাস্থলে জড়ো হতে দেখা যায় তাদের।

এ ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানান বাকৃবি হেলথ কেয়ারের ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. সাদিকুল ইসলাম খান।
তিনি আরো জানান, এর মধ্যে একজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে, একজনের সোল্ডার জয়েন্টে এক্সরে করতে শহরে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মারামারির সূত্রপাত ঘটে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের ভেতরে। পরে তা হলের সামনে বড় আকার ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের সামনে এবং পরবর্তীতে আব্দুল জব্বার মোড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং শেখ রোজী জামাল হল শাখা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। বেশ কিছুদিন ধরেই দুই হলের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ঝামেলা চলছিল। মঙ্গলবার সীমানা নিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে হলের প্রভোস্টদ্বয়, ওই হলের ছাত্রী নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ-সম্পাদকসহ একটি আলোচনা সভা হয়। এর মধ্যেই হলের সীমানায় ইফতারের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে ওই দুই হলের ছাত্রী নেতৃবৃন্দের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়।
পরে সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়। পরে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলতে থাকে।

একপর্যায়ে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের এক নেতা সভাপতি গ্রুপের একজনকে মারধর করে ছাত্রী হলের ভেতরেই। পরে তাদের হলের বাইরে বের করে আনা হয়। এসময় উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে।
পরে হল থেকে ছাত্ররা এসে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের আরেকজনকে ধরে মারধর করে। তখন দুই গ্রুপেরই বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে ভিড় জমায় রোকেয়া হলের সামনে। হাতাহাতি -মারামারি, লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে দুই গ্রুপের সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সর্বাত্মক চেষ্টা করতে থাকে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে রোকেয়া হলের সামনে থেকে দুই গ্রুপের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে আবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু করে দুই গ্রুপ। পরে সভাপতির গ্রুপের সদস্যরা আব্দুল জব্বার মোড়ে অবস্থান নেয় এবং একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। এই পর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা চলে গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে থাকে। একপর্যায়ে স্ট্যাম্প, ব্যাট, সাইকেলের চেইন, লাঠিসোটা এবং দেশি অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ইফতারের আগ পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় চলতে থাকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। তবে ইফতারের পরে আর কোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোতোয়ালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নিয়েই পরে ফিরে যায়। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ফিরে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আবার বেশি খারাপের দিকে যায়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের মতো পরিবেশ তখনো ছিল না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীদের দুই হলের সীমানা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। এর মধ্যে ছাত্রলীগের কয়েকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আমরা হলের ভেতর থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সব হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। আমরা কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।

জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো একা আইন তৈরি করি না। এই মুহূর্তে তদন্ত কমিটি হবে কি না বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, একটি হল যখন তৈরি করা হয় তখন তার নির্দিষ্ট নকশা থাকে। না থাকলেও সেটি নির্ধারণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ায় সেটি আমরা সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু নিজেদের ভুল বুঝাবুঝির কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান বলেন, নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি প্রক্টর এবং ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে নিয়মানুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

আপডেট সময় ০৫:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রী হলের সীমানা দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় ধরে চলে ওই সংঘর্ষ। একপর্যায়ে বিভিন্ন হল থেকে স্ট্যাম্প, ব্যাট, সাইকেলের চেইন, লাঠিসোঠা এবং দেশি অস্ত্র হাতে ঘটনাস্থলে জড়ো হতে দেখা যায় তাদের।

এ ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানান বাকৃবি হেলথ কেয়ারের ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. সাদিকুল ইসলাম খান।
তিনি আরো জানান, এর মধ্যে একজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে, একজনের সোল্ডার জয়েন্টে এক্সরে করতে শহরে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মারামারির সূত্রপাত ঘটে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের ভেতরে। পরে তা হলের সামনে বড় আকার ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের সামনে এবং পরবর্তীতে আব্দুল জব্বার মোড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং শেখ রোজী জামাল হল শাখা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। বেশ কিছুদিন ধরেই দুই হলের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ঝামেলা চলছিল। মঙ্গলবার সীমানা নিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে হলের প্রভোস্টদ্বয়, ওই হলের ছাত্রী নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ-সম্পাদকসহ একটি আলোচনা সভা হয়। এর মধ্যেই হলের সীমানায় ইফতারের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে ওই দুই হলের ছাত্রী নেতৃবৃন্দের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়।
পরে সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়। পরে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলতে থাকে।

একপর্যায়ে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের এক নেতা সভাপতি গ্রুপের একজনকে মারধর করে ছাত্রী হলের ভেতরেই। পরে তাদের হলের বাইরে বের করে আনা হয়। এসময় উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে।
পরে হল থেকে ছাত্ররা এসে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের আরেকজনকে ধরে মারধর করে। তখন দুই গ্রুপেরই বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে ভিড় জমায় রোকেয়া হলের সামনে। হাতাহাতি -মারামারি, লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে দুই গ্রুপের সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সর্বাত্মক চেষ্টা করতে থাকে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে রোকেয়া হলের সামনে থেকে দুই গ্রুপের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে আবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু করে দুই গ্রুপ। পরে সভাপতির গ্রুপের সদস্যরা আব্দুল জব্বার মোড়ে অবস্থান নেয় এবং একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। এই পর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা চলে গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে থাকে। একপর্যায়ে স্ট্যাম্প, ব্যাট, সাইকেলের চেইন, লাঠিসোটা এবং দেশি অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ইফতারের আগ পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় চলতে থাকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। তবে ইফতারের পরে আর কোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোতোয়ালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নিয়েই পরে ফিরে যায়। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ফিরে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আবার বেশি খারাপের দিকে যায়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের মতো পরিবেশ তখনো ছিল না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীদের দুই হলের সীমানা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। এর মধ্যে ছাত্রলীগের কয়েকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আমরা হলের ভেতর থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সব হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। আমরা কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।

জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো একা আইন তৈরি করি না। এই মুহূর্তে তদন্ত কমিটি হবে কি না বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, একটি হল যখন তৈরি করা হয় তখন তার নির্দিষ্ট নকশা থাকে। না থাকলেও সেটি নির্ধারণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ায় সেটি আমরা সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু নিজেদের ভুল বুঝাবুঝির কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান বলেন, নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি প্রক্টর এবং ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে নিয়মানুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।