কাঁচাবাজারে নয়, নিত্যপণ্য কিনতে সুপারশপে যান
নিউজ ডেস্ক:-
- আপডেট সময় ০৬:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
- / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে
কাঁচাবাজারে বিক্রেতাদের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয়ে বরং সুপারশপগুলোতে নির্ধারিত মূল্যে ভোক্তাদের পণ্য কেনার পরামর্শ দিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও এ ব্যাপারে সংবাদ প্রচারের তাগিদ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুপার মার্কেটে যদি ২৯ টাকায় আলু থাকে তাহলে কেন আমি ৩৫ টাকায় দামাদামি করব। অনেকে মনে করেন দামাদামি করলে হয়ত ২ টাকা সাশ্রয়ী হবে, সে জন্যই মানুষ কাঁচাবাজারে যান। তেলের দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও কমে বিক্রি করতেছে সুপারশপগুলো। অন্যান্য জিনিসও তারা চেষ্টা করছেন যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি করতে।
তিনি আরও বলেন, আমার নিজের কাছেও অবাক লেগেছে, যারা মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত তাদের জন্য নাকি সুপার মার্কেট। কিন্তু সুপার মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন আমাকে চিঠি দিয়ে বলেছে, রোজার মধ্যে প্রয়োজনীয় কোন পণ্যের দাম কত কমে বিক্রি করবেন তারা। এটা দেশের জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, চালের ব্যাপারে তেমন অস্থিরতা নেই, যেহেতু এর ব্যাপারে কোন নিউজ নেই। পণ্যের দাম যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, সেদিকে গণমাধ্যমের হাইলাইট করা উচিত। কাঁচাবাজারের বিক্রেতাদের মুখের কথা না নিয়ে সুপারশপগুলোর ট্যাগে হাইলাইট করা উচিত, তাহলে জনগণও আর বিক্রেতাদের দ্বারা হয়রানি না হয়ে সুপারশপ থেকে পণ্য কিনবেন।
‘ফিক্সড প্রাইস’ শপগুলোতে পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কাঁচাবাজারগুলোর চেয়ে কম উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা। ফিক্সড প্রাইসের যে দোকানগুলো থাকে, সেখানে পণ্যের দামটা লেখা থাকে। কাঁচাবাজারে গেলে সে যেহেতু দামাদামি করে, তাই বিক্রেতা সেখানে যে দামটা দাবি করে সেটাই প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু যে দামে বিক্রি হয়, সেটি প্রচার হচ্ছে না। কাঁচাবাজারে কোন ট্যাগ লাগানো থাকে না। তাই কাঁচাবাজারের এ দামের তুলনা তুলে ধরতে তিনি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সুপারশপ বলব না, ফিক্সড প্রাইসের শপগুলোতে তুলনামূলকভাবে কাঁচা বাজারগুলোর চেয়ে পণ্যের দাম কম। ঢাকার প্রত্যেকটা হোলসেল মার্কেটে নজরদারি রয়েছে। পাইকারি বিক্রেতাদের একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। তাদেরকে রশিদ ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। সাধারণত অভিযানে গেলে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এ রশিদ পাওয়া যায় না। কারণ তারা পাইকারি বাজারের আড়তদার থেকে না নিয়ে বাজারের রাস্তা থেকে কিনে থাকেন। এ সচেতনতা হাইলাইট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এগুলোকে আইনের মধ্যে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।
সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহের তদারকির জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের মনিটরিংয়ে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৫ মার্চ এটি উদ্বোধন করা হবে। এর মাধ্যমে কোন জায়গার পণ্য কোথায় যাচ্ছে সেটা বোঝা যাবে। ফলে পণ্যের দাম কীভাবে বাড়ছে সেটাও ধরা পড়বে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে বিপণন আইনকে আরও শক্তিশালী করা হবে বলেও জানান তিনি।