ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদর যুদ্ধের শহীদদের অবদান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি-বদরের ময়দান

আজ ১৭ রমজান ১৪৪৩ হিজরি ঐতিহাসিক বদর দিবস। দ্বিতীয় হিজরির মাহে রমজানের এ দিনেই সংঘটিত হয় ইসলামের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বদর যুদ্ধ। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধে মুসলমানরা অসাধারণ বিজয় লাভ করেন এবং কাফেররা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।

ইসলামের ইতিহাসে বদরের যুদ্ধ বিশেষভাবে স্মরণীয়। কারণ এ যুদ্ধে ৩১৩ জন মুসলমানের একটি নিরস্ত্র দল তৎকালীন রণকৌশলে পারদর্শী অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত কাফের বাহিনীর সাথে অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে আনে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে, আল্লাহ তো তোমাদের সাহায্য করেছিলেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ১২৩)

বদর যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলে করিম সা: বলেছিলেন, ‘আজ যে ব্যক্তি কাফেরদের বিরুদ্ধে ধৈর্যের সাথে সওয়াবের প্রত্যাশায় যুদ্ধ করবে, শহীদ হবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (বায়হাকি)

এমন আশ্বাসবাণী পেয়ে হক ও বাতিলের লড়াইয়ে স্বল্পসংখ্যক মুসলমান জানবাজি রেখে কাফেরদের মোকাবিলায় জয়লাভ করেছিলেন। বদর যুদ্ধে ৭০ জন কাফের নিহত ও ৭০ জন বন্দী হয়। অন্যদিকে ১৪ জন মুসলমান শাহাদাত বরণে গৌরব অর্জন করেন। এদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন মুহাজির এবং আটজন আনসার।

মুহাজির ছয়জন হলেন- হজরত মাহজা ইবনে সালিহ রা:, হজরত উবায়দা ইবনে হারিস রা:, হজরত ওমায়ব ইবনে আবি ওয়াককাস রা:, হজরত আকিল ইবনে বুকায়র রা:, হজরত যুশ শুমালাইন ওমায়র ইবনে আবদ আমর ইবনে নাদলা জাঈ রা: ও হজরত আম্মার ইবনে যিয়াদ ইবন সাকান ইবন রাফে রা:।

আনসার আটজন হলেন- হজরত সাদ ইবনে খায়সামা রা:, হজরত ইবনে আবদিল মুনজির ইবনে যুবায়ের রা:, হজরত ইয়াজিদ ইবনে হারিস রা:, হজরত ওমায়র ইবনে হাম্মাম রা:, হজরত রাফে ইবনে মুয়াল্লা রা:, হজরত হারিস আনসারি আউসি নাজ্জারি রা:, হজরত আউস ইবনে হারিস ইবনে আফরা রা: ও হজরত মুআওয়িজ ইবন আফরা রা:।

নিউজটি শেয়ার করুন

বদর যুদ্ধের শহীদদের অবদান

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

আজ ১৭ রমজান ১৪৪৩ হিজরি ঐতিহাসিক বদর দিবস। দ্বিতীয় হিজরির মাহে রমজানের এ দিনেই সংঘটিত হয় ইসলামের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বদর যুদ্ধ। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধে মুসলমানরা অসাধারণ বিজয় লাভ করেন এবং কাফেররা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।

ইসলামের ইতিহাসে বদরের যুদ্ধ বিশেষভাবে স্মরণীয়। কারণ এ যুদ্ধে ৩১৩ জন মুসলমানের একটি নিরস্ত্র দল তৎকালীন রণকৌশলে পারদর্শী অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত কাফের বাহিনীর সাথে অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে আনে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে, আল্লাহ তো তোমাদের সাহায্য করেছিলেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ১২৩)

বদর যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলে করিম সা: বলেছিলেন, ‘আজ যে ব্যক্তি কাফেরদের বিরুদ্ধে ধৈর্যের সাথে সওয়াবের প্রত্যাশায় যুদ্ধ করবে, শহীদ হবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (বায়হাকি)

এমন আশ্বাসবাণী পেয়ে হক ও বাতিলের লড়াইয়ে স্বল্পসংখ্যক মুসলমান জানবাজি রেখে কাফেরদের মোকাবিলায় জয়লাভ করেছিলেন। বদর যুদ্ধে ৭০ জন কাফের নিহত ও ৭০ জন বন্দী হয়। অন্যদিকে ১৪ জন মুসলমান শাহাদাত বরণে গৌরব অর্জন করেন। এদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন মুহাজির এবং আটজন আনসার।

মুহাজির ছয়জন হলেন- হজরত মাহজা ইবনে সালিহ রা:, হজরত উবায়দা ইবনে হারিস রা:, হজরত ওমায়ব ইবনে আবি ওয়াককাস রা:, হজরত আকিল ইবনে বুকায়র রা:, হজরত যুশ শুমালাইন ওমায়র ইবনে আবদ আমর ইবনে নাদলা জাঈ রা: ও হজরত আম্মার ইবনে যিয়াদ ইবন সাকান ইবন রাফে রা:।

আনসার আটজন হলেন- হজরত সাদ ইবনে খায়সামা রা:, হজরত ইবনে আবদিল মুনজির ইবনে যুবায়ের রা:, হজরত ইয়াজিদ ইবনে হারিস রা:, হজরত ওমায়র ইবনে হাম্মাম রা:, হজরত রাফে ইবনে মুয়াল্লা রা:, হজরত হারিস আনসারি আউসি নাজ্জারি রা:, হজরত আউস ইবনে হারিস ইবনে আফরা রা: ও হজরত মুআওয়িজ ইবন আফরা রা:।