আ.লীগ নেত্রীকে মেরে দাঁত ফেলে দিল চেয়ারম্যান
- আপডেট সময় ০২:২৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের পটিয়ায় নলকূপ বণ্টনকে কেন্দ্র করে এক মহিলা ইউপি সদস্যকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত নাছিমা আক্তার (৪৮) শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মহিলা আ.লীগ নেত্রী। অভিযুক্ত এহছানুল হক শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
আহত নাছিমা আকতার জানান, পটিয়ার সাবেক এমপির সময়ে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে নলকূপ বরাদ্দ দেন। প্রত্যেক মেম্বাররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে নলকূপ বসালেও আমি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় চেয়ারম্যান আমার নলকূপটি বসাতে দেননি। ভিজিডি চাল বরাদ্দের তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত মিটিংয়ের একপর্যায়ে চেয়ারম্যান থেকে আমার বরাদ্দের নলকূপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ সময় ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ভাইপো মো. সায়েম আমাকে টেনে হিঁচড়ে ফেলে মারধর করে। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেও আমাকে মারধর করে। এ সময় আমার দাঁত পড়ে মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এহছানুল হক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ভিজিডি চাল বরাদ্দের তালিকা করতে ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং করা হয়। এ সময় আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে তালিকা করতে বলি। এ সময় নৌকার লোক ছাড়া কাউকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করি। এটি শুনে নাছিমা মেম্বার রাগান্বিত হয়ে মিটিং থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাইরে সায়েম মেম্বারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সায়েম মেম্বারের আঙুলে কামড় দেয় নাছিমা আক্তার। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সায়েম মেম্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান, শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা মেম্বারকে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।