রাস্তায় এত ভিক্ষুক কখনো দেখিনি: রিজভী
- আপডেট সময় ০৩:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৯২ বার পড়া হয়েছে
দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয়, দুর্ভিক্ষ বিরাজমান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘চারদিকে ভিক্ষার আওয়াজ, ভাত চাওয়ার আওয়াজ, চাল চাওয়ার আওয়াজ শোনা যায়। রাস্তায় এত ভিক্ষুক আমরা কখনো দেখিনি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন। জিয়া প্রজন্ম দলের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এই অনুষ্ঠান হয়। বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলেন বাংলাদেশ নাকি কানাডা, ইউরোপের মতো উন্নত হয়েছে। এক মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু গণমাধ্যমে দেখা যায়, মা তাঁর সন্তানকে বিক্রি করতে নিয়ে গেছেন।
চারদিকে শুধু আহাজারি আর কান্না দেখা যায় বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘আজকে যদি কেউ লঙ্গরখানা খোলে, তাহলে সেখানে দেখা যাবে, গরিব মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। শ্রমজীবী মানুষের মাসিক আয় কত যে ৮০ টাকা কেজিতে আলু কিনবে, লেবু কিনবে ১২০ টাকা হালিতে?’
রিজভী বলেন, অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ করছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইফতারেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। আর এটা করেছে প্রভুদের খুশি করতে।
বিএনপির মুখপাত্র আরও বলেন, সারা দুনিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত ‘অবৈধ’ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। সেটা ২০১৪ হোক, ২০১৮ হোক বা ২০২৪ সালের নির্বাচন হোক। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ, যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক দেশ বলে দাবি করে, তারা একটি দলের হয়ে সারা বিশ্বে ওকালতি করছে। অবৈধ নির্বাচনকে জায়েজ করতে চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান করে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু চায় বাংলাদেশে একটি দল আজীবন ক্ষমতায় থাকুক আর তাদের তাঁবেদারি করুক।
রিজভী বলেন, সে জন্যই জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তাদের পণ্য বর্জন করছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ফিরোজ আলম প্রমুখ।