ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুল-কলেজ আরও সাত দিন বন্ধ

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৪:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না আগামীকাল রোববার। আরও সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা।

শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল-কলেজ ছুটির কথা জানিয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাদ্রাসা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

মাউশি জানায়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে।

বন্ধ থাকবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: এদিকে তীব্র গরমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

মাদ্রাসাও বন্ধ: এদিকে মাদ্রাসা অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে কয়দিন ছুটি ঘোষণা করা হবে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সে কয়দিন ছুটি থাকবে।

দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র এবং বেশির ভাগ অঞ্চলে মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরম এপ্রিল মাসজুড়েই থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। ঈদুল ফিতরসহ আরও কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ২৬ দিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার দাবি উঠে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেন অনেকেই। সার্বিক পরিস্থিতিতে গরমে শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ভেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর।

টানা চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। এ সময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

গত বছর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ১৯৯৫ এবং ২০০২ সালেও সমান তাপমাত্রা উঠেছিল। ২০১৪ সালে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশে আবহাওয়ার রেকর্ড রাখা শুরুর পর সর্বোচ্চ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, এই গরমে মানুষের অস্বস্তি বেশি হওয়ার কারণ, এখন বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প আছে। এর ফলে প্রচুর ঘাম হয়। তাতে মানুষ ক্লান্ত হয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ সময় তাপমাত্রা কমা-বাড়ার মধ্যেই থাকতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্কুল-কলেজ আরও সাত দিন বন্ধ

আপডেট সময় ০৪:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না আগামীকাল রোববার। আরও সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা।

শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল-কলেজ ছুটির কথা জানিয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাদ্রাসা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

মাউশি জানায়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে।

বন্ধ থাকবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: এদিকে তীব্র গরমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

মাদ্রাসাও বন্ধ: এদিকে মাদ্রাসা অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে কয়দিন ছুটি ঘোষণা করা হবে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সে কয়দিন ছুটি থাকবে।

দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র এবং বেশির ভাগ অঞ্চলে মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরম এপ্রিল মাসজুড়েই থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। ঈদুল ফিতরসহ আরও কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ২৬ দিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার দাবি উঠে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেন অনেকেই। সার্বিক পরিস্থিতিতে গরমে শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ভেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর।

টানা চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। এ সময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

গত বছর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ১৯৯৫ এবং ২০০২ সালেও সমান তাপমাত্রা উঠেছিল। ২০১৪ সালে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশে আবহাওয়ার রেকর্ড রাখা শুরুর পর সর্বোচ্চ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, এই গরমে মানুষের অস্বস্তি বেশি হওয়ার কারণ, এখন বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প আছে। এর ফলে প্রচুর ঘাম হয়। তাতে মানুষ ক্লান্ত হয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ সময় তাপমাত্রা কমা-বাড়ার মধ্যেই থাকতে পারে।