দুই পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পেটালেন আ.লীগ নেতা
- আপডেট সময় ০৩:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে যাওয়ায় মো. রানা নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. রানার স্ত্রী লাকী পারভিনকে। এ সময় ওই আওয়ামী লীগ নেতার ঘর থেকে বেশ কয়েকটি দেশীয় অবৈধ অস্ত্র ও চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. রানাসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে তিনটি মামল দায়ের করে পুলিশ।
সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, পাবনার সাথিয়ার সাটিয়াকোলা গ্রামের জরিনা খাতুন ৯৯৯ ফোন করে জানায়, সিরাজগঞ্জের রেলওয়ে কলোনি মহল্লায় তার স্বামী সাইদুল ইসলাম তাদের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে জোরপূর্বক আটকে রেখে বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন। সংবাদ পেয়ে এসআই ব্রজেশ্বরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায় এবং বাল্যবিয়ে বন্ধের কথা বলেন। এ সময় রানার নেতৃত্বে ১৬ থেকে ১৭ জনের একটি দল তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা এসআই ব্রজেশ্বরসহ একজন নারী কনস্টেবলকে মারধর এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলে থাকা জরিনা পারভীনের ছেলে জীবন ও তার নাবালিকা বোনকেও মারধর করে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রানার নেতৃত্বে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রানার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে তার স্ত্রী লাকী পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। লাকীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রানার ঘর থেকে ৩টি ধারালো তলোয়ার, দুটি বড় ছোরা, ১টি বল্লম, একটি রামদা ও ২০ লিটার দেশীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় এসআই ব্রজেশ্বর বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ মোট তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।