ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বজ্রপাতে ঘরসহ পুড়ে ছাই মা ও শিশু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / ২৭০ বার পড়া হয়েছে

বজ্রপাত হয় ঘরের চালে, পরে ঘরে থাকা মা ও শিশু দুজনই ঘরসহ পুড়ে যান। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে রোববার (৫ মে) ভোরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ দুটি উদ্বার করে।

এসময় সঙ্গে থাকা আরেক সন্তান হাফিজ (১১) সকালে প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে প্রাণে বেঁচে যায় সে। নিহতের স্বামী মো. ছাদেক মিয়া পরিবহন সংস্থা শান্তি গাড়ির হেলপার। সে গাড়িতে কর্মরত থাকায় বাড়ির বাহিরে থাকায় তিনিও প্রাণে বেঁচে যান।

স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আকাশে গর্জনসহ বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এসময় একটি বজ্রপাত ছাদেক মিয়ার বসতঘরে পড়ে। বসতঘরে থাকা হাসিনা আক্তার ও ছেলে আবু হানিফ বজ্রপাতে পুড়ে কঙ্কাল হয়ে যায়। এসময় সঙ্গে থাকা আরেক ছেলে মো. হাফিজ প্রাণে বেচে যায়। খবর পেয়ে বাড়ির মালিক ছাদেক মিয়া পানছড়ি থেকে বাড়ি ফেরেন। এঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. নাজমুল ইসলাম জানান, সাড়ে ৫টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। ঘরের ওপর বজ্র পড়ায় মুহূর্তেই সব শেষ।

নিহতের ভাসুর আবদুর রহিম জানান, ভোর ৫টার দিকে আমরা বাড়ি থেকে একটু দূরে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে ছাদেক মিয়ার বসতঘরে বজ্রপাত পড়ে। এসময় পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে নিহতদের লাশ অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের গাড়িচালক স্বামী ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।
দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডেকেল অফিসার জানান, বজ্রপাতে নিহত পরিবারের বেঁচে যাওয়া ছেলে হাফিজুর রহমানকে (১১) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্যদের লাশ দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ওসি মো. নুরুল হক জানিয়েছেন, বজ্রপাতে মা ও ছেলে দুজনই একদম পুড়ে গেছেন, লাশ চেনার উপায়ও নেই। তিনি জানান, লাশগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বজ্রপাতে ঘরসহ পুড়ে ছাই মা ও শিশু

আপডেট সময় ১০:৪৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

বজ্রপাত হয় ঘরের চালে, পরে ঘরে থাকা মা ও শিশু দুজনই ঘরসহ পুড়ে যান। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে রোববার (৫ মে) ভোরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ দুটি উদ্বার করে।

এসময় সঙ্গে থাকা আরেক সন্তান হাফিজ (১১) সকালে প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে প্রাণে বেঁচে যায় সে। নিহতের স্বামী মো. ছাদেক মিয়া পরিবহন সংস্থা শান্তি গাড়ির হেলপার। সে গাড়িতে কর্মরত থাকায় বাড়ির বাহিরে থাকায় তিনিও প্রাণে বেঁচে যান।

স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আকাশে গর্জনসহ বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এসময় একটি বজ্রপাত ছাদেক মিয়ার বসতঘরে পড়ে। বসতঘরে থাকা হাসিনা আক্তার ও ছেলে আবু হানিফ বজ্রপাতে পুড়ে কঙ্কাল হয়ে যায়। এসময় সঙ্গে থাকা আরেক ছেলে মো. হাফিজ প্রাণে বেচে যায়। খবর পেয়ে বাড়ির মালিক ছাদেক মিয়া পানছড়ি থেকে বাড়ি ফেরেন। এঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. নাজমুল ইসলাম জানান, সাড়ে ৫টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। ঘরের ওপর বজ্র পড়ায় মুহূর্তেই সব শেষ।

নিহতের ভাসুর আবদুর রহিম জানান, ভোর ৫টার দিকে আমরা বাড়ি থেকে একটু দূরে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে ছাদেক মিয়ার বসতঘরে বজ্রপাত পড়ে। এসময় পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে নিহতদের লাশ অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের গাড়িচালক স্বামী ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।
দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডেকেল অফিসার জানান, বজ্রপাতে নিহত পরিবারের বেঁচে যাওয়া ছেলে হাফিজুর রহমানকে (১১) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্যদের লাশ দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ওসি মো. নুরুল হক জানিয়েছেন, বজ্রপাতে মা ও ছেলে দুজনই একদম পুড়ে গেছেন, লাশ চেনার উপায়ও নেই। তিনি জানান, লাশগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।