ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেলেরা কেন মেয়েদের চেয়ে পিছিয়ে, খুঁজে বের করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছেলে-মেয়েদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে কেন পিছিয়ে আছে, সেটি খুঁজে বের করতে হবে। রোববার সকালে গণভবনে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে প্রতিযোগিতা করার মতো শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় সরকার। কেন ছেলেমেয়েরা কিশোর গ্যাংয়ে যাবে, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তাদের এসব থেকে বিরত রেখে সুস্থ পরিবেশে আনতে হবে। শিক্ষা নীতি সময়ের সঙ্গে পরিবর্ধন, পরিবর্তনের সুযোগ আছে।

তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবেশ তৈরি, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিই করতে চেয়েছে সরকার। সরকার অভিভাবকদেরও সচেতন করতে কাজ করেছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।

শিক্ষার ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করে সরকার। আওয়ামী লীগের চেষ্টা ছিল শিক্ষার বিষয়ে আগ্রহী করা। এর ফলে সাক্ষরতা ও শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। তবুও কেউ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে ৬০ দিনের মধ্যে ফল পাচ্ছে। আগে মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও ফলাফল পায়নি। আওয়ামী লীগ ফলপ্রকাশ নিয়মের মধ্যে এনেছে। ৭৫ এর পরে যারা সরকারে এসেছিল, তাদের সময় শিক্ষার পরিবেশ ছিল না। মেধাবীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বিপথে নেয়া হয়, তখন সেশন জট ছিল। এমনকি তখন সাক্ষরতার হার বাড়েনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৬ শতাংশ। ১৫ বছরে এটি বড় অর্জন। এবারে অধিকাংশ বোর্ডে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। আওয়ামী লীগ নারী শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তবে কেন ছাত্র কম, তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার বিনা পয়সায় বই ও বৃত্তি দিচ্ছে, কোভিডের সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলাম। যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদের অভিনন্দন। যারা কৃতকার্য হতে পারেনি মন খারাপের কিছু নেই। আবার ভালোভাবে উদ্যোগ নিলে আগামীবার পাস করবে। অকৃতকার্যদের অভিভাবকরা গালাগালি নয়, সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী করতে হবে। ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়েদের মেধা অনেক বেশী, সেই মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই ১৫ বছরে সাক্ষরতার হার, কারিগরি শিক্ষা ও মেয়েদের শিক্ষার হার বেড়েছে। কেননা কারিগরি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহী করতে নতুন বই বিনা পয়সায় দিচ্ছি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্রেইল বই দিচ্ছি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভাষায়ও বই দেয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলায় টেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছি।

শুধু মুখস্থ বিদ্যা নয়, শিশুর মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্য রেখেই কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বেতন ভাতা, সুযোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার বলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছেলেরা কেন মেয়েদের চেয়ে পিছিয়ে, খুঁজে বের করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০২:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছেলে-মেয়েদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে কেন পিছিয়ে আছে, সেটি খুঁজে বের করতে হবে। রোববার সকালে গণভবনে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে প্রতিযোগিতা করার মতো শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় সরকার। কেন ছেলেমেয়েরা কিশোর গ্যাংয়ে যাবে, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তাদের এসব থেকে বিরত রেখে সুস্থ পরিবেশে আনতে হবে। শিক্ষা নীতি সময়ের সঙ্গে পরিবর্ধন, পরিবর্তনের সুযোগ আছে।

তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবেশ তৈরি, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিই করতে চেয়েছে সরকার। সরকার অভিভাবকদেরও সচেতন করতে কাজ করেছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।

শিক্ষার ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করে সরকার। আওয়ামী লীগের চেষ্টা ছিল শিক্ষার বিষয়ে আগ্রহী করা। এর ফলে সাক্ষরতা ও শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। তবুও কেউ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে ৬০ দিনের মধ্যে ফল পাচ্ছে। আগে মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও ফলাফল পায়নি। আওয়ামী লীগ ফলপ্রকাশ নিয়মের মধ্যে এনেছে। ৭৫ এর পরে যারা সরকারে এসেছিল, তাদের সময় শিক্ষার পরিবেশ ছিল না। মেধাবীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বিপথে নেয়া হয়, তখন সেশন জট ছিল। এমনকি তখন সাক্ষরতার হার বাড়েনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৬ শতাংশ। ১৫ বছরে এটি বড় অর্জন। এবারে অধিকাংশ বোর্ডে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। আওয়ামী লীগ নারী শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তবে কেন ছাত্র কম, তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার বিনা পয়সায় বই ও বৃত্তি দিচ্ছে, কোভিডের সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলাম। যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদের অভিনন্দন। যারা কৃতকার্য হতে পারেনি মন খারাপের কিছু নেই। আবার ভালোভাবে উদ্যোগ নিলে আগামীবার পাস করবে। অকৃতকার্যদের অভিভাবকরা গালাগালি নয়, সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী করতে হবে। ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়েদের মেধা অনেক বেশী, সেই মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই ১৫ বছরে সাক্ষরতার হার, কারিগরি শিক্ষা ও মেয়েদের শিক্ষার হার বেড়েছে। কেননা কারিগরি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহী করতে নতুন বই বিনা পয়সায় দিচ্ছি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্রেইল বই দিচ্ছি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভাষায়ও বই দেয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলায় টেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছি।

শুধু মুখস্থ বিদ্যা নয়, শিশুর মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্য রেখেই কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বেতন ভাতা, সুযোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার বলেন তিনি।