ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো বিদেশী সামরিক উপস্থিতি মানব না : হামাস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
  • / ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো ধরনের বিদেশী সামরিক উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাস এ দাবি করেছে।

হামাস তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাণ করা অস্থায়ী জেটি ফিলিস্তিনি তদারকিতে সকল স্থল ক্রসিং খুলে দেয়ার কোনো বিকল্প নয়। এতে দৃঢ়ভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যেকোনো বিদেশী সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

উল্লেখ্য, আরব লিগ বৃহস্পতিবার জানায় যে তারা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হোক। আর যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজায় বহুজাতিক আরব বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এছাড়া গাজা উপকূলে মার্কিন বাহিনী একটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করেছে। তারা এখান দিয়ে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে।

গাজা সীমান্ত পারাপারের ওপর ইসরাইলের বিধিনিষেধ এবং প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে শুক্রবার ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্মিত একটি ভাসমান জেটি দিয়ে প্রথমবারের মতো অবরুদ্ধ ছিটমহলে প্রবেশ করে।

সাত মাস ধরে চলা আগ্রাসনে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা অভিযানে গাজা ভূখণ্ডে প্রতিদিন ১৫০টি ট্রাক ঢুকতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে, জেটি প্রকল্পটি স্থল সরবরাহের বিকল্প নয়। স্থল সরবরাহের মাধ্যমে গাজায় প্রয়োজনীয় সমস্ত খাবার, পানি এবং জ্বালানি সরবরাহ হতে পারে। যুদ্ধের আগে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক ট্রাক বোঝাই করে পণ্য গাজায় প্রবেশ করতো।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড শুক্রবার এক বিবৃতিতে ত্রাণ তৎপরতার কথা স্বীকার করে বলেছে, সকাল ৯টায় প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করে। এতে বলা হয়, অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনাসদস্য তীরে যায়নি।

বৃহস্পতিবার সেনাসদস্যরা ভাসমান জেটি বসানোর কাজ শেষ করেছে। কয়েক ঘণ্টা পরে পেন্টাগন জানায়, মানবিক সহায়তা শিগগিরই পাঠানো শুরু হবে এবং বিতরণ প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাকআপ আশা করা হচ্ছে না। এটি জাতিসঙ্ঘ সমন্বয় করছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেন, ইসরাইলিদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সব আলোচনায় জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। তিনি আরো বলেন, সমুদ্রপথ দিয়ে ধীরে ধীরে শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং সময়ের সাথে সাথে ট্রাক ডেলিভারি বাড়ানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেটি প্রকল্পের নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য ব্যয় হবে ৩২ কোটি ডলার। নৌকাবোঝাই ত্রাণ গাজা সিটির দক্ষিণ-পশ্চিমে ইসরাইলিদের নির্মিত একটি বন্দর স্থাপনায় জমা দেয়া হবে এবং তারপর ত্রাণ সংস্থাগুলো তা বিতরণ করবে।
সূত্র : আল জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, ভয়েস অব আমেরিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো বিদেশী সামরিক উপস্থিতি মানব না : হামাস

আপডেট সময় ০৯:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো ধরনের বিদেশী সামরিক উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাস এ দাবি করেছে।

হামাস তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাণ করা অস্থায়ী জেটি ফিলিস্তিনি তদারকিতে সকল স্থল ক্রসিং খুলে দেয়ার কোনো বিকল্প নয়। এতে দৃঢ়ভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যেকোনো বিদেশী সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

উল্লেখ্য, আরব লিগ বৃহস্পতিবার জানায় যে তারা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হোক। আর যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজায় বহুজাতিক আরব বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এছাড়া গাজা উপকূলে মার্কিন বাহিনী একটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করেছে। তারা এখান দিয়ে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে।

গাজা সীমান্ত পারাপারের ওপর ইসরাইলের বিধিনিষেধ এবং প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে শুক্রবার ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্মিত একটি ভাসমান জেটি দিয়ে প্রথমবারের মতো অবরুদ্ধ ছিটমহলে প্রবেশ করে।

সাত মাস ধরে চলা আগ্রাসনে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা অভিযানে গাজা ভূখণ্ডে প্রতিদিন ১৫০টি ট্রাক ঢুকতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে, জেটি প্রকল্পটি স্থল সরবরাহের বিকল্প নয়। স্থল সরবরাহের মাধ্যমে গাজায় প্রয়োজনীয় সমস্ত খাবার, পানি এবং জ্বালানি সরবরাহ হতে পারে। যুদ্ধের আগে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক ট্রাক বোঝাই করে পণ্য গাজায় প্রবেশ করতো।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড শুক্রবার এক বিবৃতিতে ত্রাণ তৎপরতার কথা স্বীকার করে বলেছে, সকাল ৯টায় প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করে। এতে বলা হয়, অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনাসদস্য তীরে যায়নি।

বৃহস্পতিবার সেনাসদস্যরা ভাসমান জেটি বসানোর কাজ শেষ করেছে। কয়েক ঘণ্টা পরে পেন্টাগন জানায়, মানবিক সহায়তা শিগগিরই পাঠানো শুরু হবে এবং বিতরণ প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাকআপ আশা করা হচ্ছে না। এটি জাতিসঙ্ঘ সমন্বয় করছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেন, ইসরাইলিদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সব আলোচনায় জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। তিনি আরো বলেন, সমুদ্রপথ দিয়ে ধীরে ধীরে শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং সময়ের সাথে সাথে ট্রাক ডেলিভারি বাড়ানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেটি প্রকল্পের নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য ব্যয় হবে ৩২ কোটি ডলার। নৌকাবোঝাই ত্রাণ গাজা সিটির দক্ষিণ-পশ্চিমে ইসরাইলিদের নির্মিত একটি বন্দর স্থাপনায় জমা দেয়া হবে এবং তারপর ত্রাণ সংস্থাগুলো তা বিতরণ করবে।
সূত্র : আল জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, ভয়েস অব আমেরিকা