ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের মরদেহ উদ্ধার কলকাতায়
- আপডেট সময় ০২:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
- / ২২৯ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভারতের পুলিশ। বুধবার (২২শে মে) সকালে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভারতের সংবাদ প্রতিদিন এই খবর দিয়ে বলেছে, গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর নিউটাউন থেকে উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লীগের ৩ বারের সংসদ সদস্যের মৃতদেহ।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই সংসদ সদস্যের। রোববার (১৯ মে) পরিবারের পক্ষ থেকে এমপির সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়টি রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে অভিহিত করা হয়।
এদিকে, আনোয়ারুল আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে সংসদ সদস্য আজিমের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান আব্দুর রউফ।
অবশ্য কলকাতার সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন শিরোনাম করেছে নিউটাউনে ‘খুন’ বাংলাদেশের সাংসদ।
সীমান্ত এলাকা ঝিনাইদহ-৪ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৯শে মে আনোয়ারুল আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ বলেছিলেন, ১১ই মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু এরপর ১৬ই মে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ১৯শে মে ডিবি কার্যালয়েও যান আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে।
অন্যদিকে, কলকাতার সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন তাদের প্রতিবেদনে বলে , তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে আনোয়ারুলের পরিবারের তরফে এর পর যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর যোগাযোগ করে দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে। ওই সাংসদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতা পুলিশ। এরই মাঝে বুধবার নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হয় ওই সাংসদের দেহ।
গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কলকাতায় এসে তিনি উঠেছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচিত বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। ২ দিন সেখানে থাকার পর ১৪ তারিখ তিনি গোপালকে জানান, বিশেষ প্রয়োজনে তিনি বের হচ্ছেন, আজই ফিরে আসবেন। তবে তার পরদিনও সাংসদ না ফেরায় উদ্বিগ্ন গোপাল থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের তরফেও তাকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। এর পরই সাংসদের খোঁজে তৎপর হয়ে ওঠে ভারত ও বাংলাদেশ। এরই মাঝে তার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাশাপাশি আরও একটি তথ্য বলছে, কলকাতায় এসে নিউ টাউনের একটি বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। সেখানে এক মহিলা সঙ্গীসহ তার সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু কে বা কারা খুন করল, কেনই বা খুন করল এখনো পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে নিউটাউন থানার পুলিশ এবং বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও এইচডিএফ আধিকারিকরা তদন্তে নেমেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনে সিসিটিভি ফুটেজ।