ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
  • / ৮০ বার পড়া হয়েছে

মাধবদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন মাহবুবের সঙ্গে থাকা আরও ২ জন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর ওবায়দুল্লাহ টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুবুল হাসান ভগিরথপুর গ্রামের হাজী ইমাম উদ্দিনের ছেলে, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এখন পর্যন্ত (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) সন্দেহভাজন হিসেবে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তারা নিবিড়ভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও তিনি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাতে ভগিরথপুর মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ৮/১০ জন দলীয় নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন মাহবুবুল হাসান। পথে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্তের মালিকানাধীন ওবায়দুল্লাহ টেক্সটাইলের সামনে পৌঁছলে ৭/৮ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত মাহবুব হাসানসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর হামলা করে। এসময় গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাহবুব হাসান (৪০), সাঈদ হাসান পাপ্পু (৩৮) ও ফরহাদ মিয়া (৪০) নামে তিনজন আহত হয়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুইজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহতের স্বজন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ জনপ্রতিনিধিরা। রাজনৈতিক পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি কর্মী সমর্থক ও স্বজনদের। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক দাবি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী রবিন মিয়া জানান, দলীয় কার্যালয় থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন।

এসময় সামনে থাকা বালু ট্রাকের আড়াল হতে ৭/৮ জন অস্ত্রধারী চিহ্নিত দুর্বৃত্ত হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাহবুবকে কোপাতে থাকে। এসময় সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে বাঁচাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করে। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তার স্বজনদের দাবি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহমুদুল কবীর বাশার বলেন, রাত পৌনে ১টার দিকে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসানসহ তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। মাহবুব হাসানের মাথার পেছনে ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপের বড় ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান। গুলির বিষয়ে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে বলে তিনি জানান।

এসময় সাঈদ হাসান পাপ্পু ও ফরহাদ মিয়া নামে আরও দুইজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতাবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ১১:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

মাধবদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন মাহবুবের সঙ্গে থাকা আরও ২ জন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর ওবায়দুল্লাহ টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুবুল হাসান ভগিরথপুর গ্রামের হাজী ইমাম উদ্দিনের ছেলে, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এখন পর্যন্ত (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) সন্দেহভাজন হিসেবে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তারা নিবিড়ভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও তিনি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাতে ভগিরথপুর মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ৮/১০ জন দলীয় নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন মাহবুবুল হাসান। পথে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্তের মালিকানাধীন ওবায়দুল্লাহ টেক্সটাইলের সামনে পৌঁছলে ৭/৮ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত মাহবুব হাসানসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর হামলা করে। এসময় গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাহবুব হাসান (৪০), সাঈদ হাসান পাপ্পু (৩৮) ও ফরহাদ মিয়া (৪০) নামে তিনজন আহত হয়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুইজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহতের স্বজন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ জনপ্রতিনিধিরা। রাজনৈতিক পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি কর্মী সমর্থক ও স্বজনদের। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক দাবি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী রবিন মিয়া জানান, দলীয় কার্যালয় থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন।

এসময় সামনে থাকা বালু ট্রাকের আড়াল হতে ৭/৮ জন অস্ত্রধারী চিহ্নিত দুর্বৃত্ত হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাহবুবকে কোপাতে থাকে। এসময় সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে বাঁচাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করে। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তার স্বজনদের দাবি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহমুদুল কবীর বাশার বলেন, রাত পৌনে ১টার দিকে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসানসহ তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। মাহবুব হাসানের মাথার পেছনে ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপের বড় ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান। গুলির বিষয়ে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে বলে তিনি জানান।

এসময় সাঈদ হাসান পাপ্পু ও ফরহাদ মিয়া নামে আরও দুইজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতাবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।