বেনজীর-আজিজ আওয়ামী লীগের কেউ না: ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময় ০৩:০১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
- / ২৯৯ বার পড়া হয়েছে
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ আওয়ামী লীগের কেউ নন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতির বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনা সরকারের আছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদ আমাদের দলের লোক নয়। সিনিয়ররিটি নিয়ে আইজিপি হয়েছে। আজিজ আহমেদও আমাদের দলের লোক নয়। সেনাপ্রধান হয়েছেন নিজ যোগ্যতায় সিনিয়রিটি নিয়ে। আমরা তাকে বানাইনি। এখন ভেতরে তারা যদি কোনো অপকর্ম করে, এটা যখন সরকারের কাছে আসে, তখন তাদের বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনা সরকারের আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব বা প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। ৮ জনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈন উদ্দিনকে কে সেনাপ্রধান বানিয়েছে? বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক আইজিপি শামসুল হুদা, এসপি কহিনুর কাদের সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল ভুলে গেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান অস্ত্র মামলায় ১০ বছর, অর্থপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজকে পলাতক আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে বিদেশে একজন সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ের সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতায় সাজা স্থগিত করে বাসায় চিকিৎসা নিতে পারছেন। আজ সেই বিএনপিও দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে দুর্বৃত্তের জন্মদাতা। আমাদের দলের নেতৃত্বে কোনো দুর্নীতি থাকলে তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসেন। আজকে বিএনপি তাদের দুর্নীতিবাজ পলাতক আসামি তারেক রহমানকে ভালো লোক সাজানোর চেষ্টা করছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এবং সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, টিআইবি আর সুজন ফখরুল-গয়েশ্বর যে সুরে কথা বলে তারাও সেই সুরে কথা বলে। টিআইবি আর সুজন কি বিএনপির বি টিম? একই সুরে কথা বলে? কোনো পার্থক্য নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের মধ্যে আমূল পার্থক্য। শেখ হাসিনা যেটা করেছেন সেটা হলো উন্নয়ন। যার কোনো তুলনা নেই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল- বাংলাদেশের যে দিকে তাকাই শুধু উন্নয়ন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা মেনে চলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, কষ্টে থাকলে জানাবেন, অপকর্ম করবেন না। আমাদের নিজের দুর্বলতার খবর শত্রু জানলে নিজেদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
এ সময় দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় শিক্ষিত জনগণকে আওয়ামী লীগে যোগদানের আহ্বান জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যারা জন্মলগ্ন থেকেই দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা করে। নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধন করার সৎ সাহস রাখে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।