কোটা সংস্কার আন্দোলন: চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের রুদ্ধদ্বার বৈঠক
- আপডেট সময় ০৫:৫২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
- / ১৪২ বার পড়া হয়েছে
কোটা সংস্কার ও শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের মাঝে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
উপস্থিত ছিলেন: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদের ৷ সংবাদ সম্মেলনে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সংবাদ সম্মেলন শেষে ওবায়দুল কাদের তার দপ্তরে গেলে তারা দু’জনও তার সঙ্গে যুক্ত হন। বেলা ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। তারা দুইজনও যোগ দেন বৈঠকে। এ সময় দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি দুপুর ২টা ১২ মিনিটে শেষ হয়।
জানা গেছে: বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিত ছিলো না। হঠাৎই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ডেকে নেওয়া হয়। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ও আইনগত দিক নিয়ে আলোচনা ও করণীয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন: এই কোটা আন্দোলনে রাজনীতির উপাদান যুক্ত হয়ে গেছে। আমাদের ডিভাইসিভ পলিটিক্স পোলারাইজড পলিটিক্স এখানে যুক্ত হয়ে গেছে। কারণ বিএনপি প্রকাশ্যে এবং তাদের সমমনারা এই কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা সাপোর্ট করেছে প্রকাশ্যেই।
তিনি আরও বলেন: সাপোর্ট করা মানেই তারা এর মধ্যে অংশগ্রহণও করেছে। কাজেই এটা এখন পোলারাইজড পলিটিক্সের ধারার মধ্যেই পড়ে গেছে। এটার পলিটিক্যাল কালার নতুন করে বলার আর অপেক্ষা রাখে না।
যোগ করেন: এখানে কারা কারা যুক্ত আছে, কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা সেটা যে আন্দোলনের গতিধারা এর মধ্যেই বোঝা যাবে। এই গতিধারায় সব কিছুই সময়ের পরিবর্তনে পরিস্কার হয়ে যাবে। কোনো কিছুই হাইড করা সম্ভব হবে না। সেটা আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের এক দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল দাবিতে অষ্টম দিনের মতো চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলন। এই আন্দোলন একযোগে পালন করছে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়, এতে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয় শিক্ষকদের কর্মসূচি। প্রসাশনিক ভবন থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলা ভবনে গিয়ে শেষ হয়। দুপুর ১২টা থেকে ১ টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।