ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৫:০০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • / ৯১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইনে প্রেম, অতঃপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক কুয়েতে প্রবাসীর ভাই।

অভিযোগকারী হলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জের চারাদী ইউনিয়নের পশ্চিম চারাদী গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে আদর ও কুয়েত প্রবাসী মাইনুল ইসলাম আবীরের আপন ভাই।

ভবিষ্যতে কোনো প্রবাসী যেন এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হয় এবং ভুক্তভোগী প্রবাসী তার কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পায় সে কারণেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান প্রবাসীর ভাই আদর হাওলাদার।

আদর অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ভাই কুয়েত প্রবাসী মাইনুল ইসলাম আবীরের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় বরগুনা ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আমিনুল ইসলামের মেয়ে ফারহা ইসলাম তামিমার সঙ্গে। এরপর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে তাদের কথাবার্তা হয়। সেই সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে ফারহা ইসলাম তামিমা আমার ভাই কুয়েত প্রবাসী মাইনুল ইসলাম আবীরকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় এবং সে আমার ভাইকে বিয়ে করতে চায়। তার সরল কথায় বিশ্বাস করে তার প্রয়োজন অনুযায়ী কুয়েত থেকে টাকা পাঠাতে থাকে। এ পর্যন্ত তার বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখেরও বেশি টাকা পাঠায়। এ ছাড়াও আমার ভাইয়ের নিকট হতে ফারহা ইসলাম তামিমা কুরিয়ার মাধ্যমে সোনার গহনা আনায়

এ প্রতারণার বিষয়ে ফারহা ইসলাম তামিমা ও তার তার সহযোগী কিছু লোকজনের মাধ্যমে আমার ভাইকে অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন দিয়ে পিবিআই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দেয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে ফারহা ইসলাম তামিমার সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানা ওসি আফজাল হোসেন বলেন, আদর হাওলাদার নামে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, তার ভাই প্রবাসী মাইনুল ইসলাম আবীরের কাছ থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়েছে ফারহা ইসলাম তামিমা নামের এক নারী। অভিযুক্ত নারীর বাড়ি বরগুনা জেলার সদর উপজেলায়। বরগুনা সদর সদর থানায় ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আমরাও খোঁজখবর নিচ্ছি, তদন্তে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:০০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

অনলাইনে প্রেম, অতঃপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক কুয়েতে প্রবাসীর ভাই।

অভিযোগকারী হলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জের চারাদী ইউনিয়নের পশ্চিম চারাদী গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে আদর ও কুয়েত প্রবাসী মাইনুল ইসলাম আবীরের আপন ভাই।

ভবিষ্যতে কোনো প্রবাসী যেন এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হয় এবং ভুক্তভোগী প্রবাসী তার কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পায় সে কারণেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান প্রবাসীর ভাই আদর হাওলাদার।

আদর অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ভাই কুয়েত প্রবাসী মাইনুল ইসলাম আবীরের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় বরগুনা ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আমিনুল ইসলামের মেয়ে ফারহা ইসলাম তামিমার সঙ্গে। এরপর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে তাদের কথাবার্তা হয়। সেই সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে ফারহা ইসলাম তামিমা আমার ভাই কুয়েত প্রবাসী মাইনুল ইসলাম আবীরকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় এবং সে আমার ভাইকে বিয়ে করতে চায়। তার সরল কথায় বিশ্বাস করে তার প্রয়োজন অনুযায়ী কুয়েত থেকে টাকা পাঠাতে থাকে। এ পর্যন্ত তার বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখেরও বেশি টাকা পাঠায়। এ ছাড়াও আমার ভাইয়ের নিকট হতে ফারহা ইসলাম তামিমা কুরিয়ার মাধ্যমে সোনার গহনা আনায়

এ প্রতারণার বিষয়ে ফারহা ইসলাম তামিমা ও তার তার সহযোগী কিছু লোকজনের মাধ্যমে আমার ভাইকে অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন দিয়ে পিবিআই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দেয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে ফারহা ইসলাম তামিমার সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানা ওসি আফজাল হোসেন বলেন, আদর হাওলাদার নামে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, তার ভাই প্রবাসী মাইনুল ইসলাম আবীরের কাছ থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়েছে ফারহা ইসলাম তামিমা নামের এক নারী। অভিযুক্ত নারীর বাড়ি বরগুনা জেলার সদর উপজেলায়। বরগুনা সদর সদর থানায় ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আমরাও খোঁজখবর নিচ্ছি, তদন্তে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।