আমি কোনো দুর্নীতি করিনি : মতিউরের স্ত্রী লাকী
- আপডেট সময় ০৪:১২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
- / ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অপসারিত সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী বলেছেন, আমি সরকারি চাকরি করেছি। কোনো অন্যায় করিনি। আমি আমার পথে এগিয়েছি। আমি রায়পুরা-নরসিংদীসহ বাংলাদেশে কোথাও কোনো দুর্নীতি করিনি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের বাঙালিনগর মাঠে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লাকী বলেন, আমি যদি দুর্নীতি করে থাকি তাহলে আইন আছে। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আইনের মাধ্যমে আমার বিচার হবে। তাছাড়া আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। গণঅভ্যুত্থানের নেত্রী ছিলাম। আমি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি বলেন, এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য পদে ছিলাম। হুট করে রায়পুরা এসে রাজনীতি করিনি। আমি কোনো কিছুর বিনিময়ে বা কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগে পদ পাইনি।
এর আগে, ১২ লাখ টাকার ছাগল বুকিং দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোপের মুখে পড়েন মুশফিকুর রহমান ইফাত। আয়ের উৎস অনুসন্ধানে গিয়ে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। খুলে যায় এক সাধারণ এনবিআর কর্মকর্তার অসাধারণ দুর্নীতির মুখোশ। এক ছাগল কেড়ে নিয়েছে মতিউরের দুই পরিবারের হাসি।
নিজের ছেলে নয় সতিনের ছেলের ছাগলকাণ্ডে বেকায়দায় পড়েছেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী। এ ঘটনায় স্বামী মতিউরের সঙ্গে লাকীর বেড়েছে দূরত্ব, সম্পর্কে ধরেছে ফাটল। দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করলেও অবশেষে শুভাকাঙ্ক্ষিদের পরামর্শে আসলেন প্রকাশ্যে।
তিতুমীর কলেজের একজন সাধারণ শিক্ষক থেকে রাতারাতি রাজনীতির মাঠে নেমে সাড়া ফেলে দেন লাকী। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। নেতার সঙ্গে সম্পর্কের পাশাপাশি স্বামী মতিউরের অবৈধ টাকার জোরেই রাজনীতির ময়দানে তিনি জায়গা করে নেন বলেই মনে করেন নরসিংদীর মানুষ।