ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজাকার ছাড়া একাত্তরের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা চেয়ে রিট

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৯৬ বার পড়া হয়েছে

রাজাকার ছাড়া ১৯৭১ সালের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করার নির্দেশনা দেয়া হোক।

রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে; আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সে জন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’

এখানে ‘আমরা’ শব্দটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং তখনকার সকল জনগণই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মর্মে ঘোষণা আবশ্যক এবং নির্দেশনা প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজাকার ছাড়া একাত্তরের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা চেয়ে রিট

আপডেট সময় ০৫:০৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

রাজাকার ছাড়া ১৯৭১ সালের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করার নির্দেশনা দেয়া হোক।

রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে; আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সে জন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’

এখানে ‘আমরা’ শব্দটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং তখনকার সকল জনগণই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মর্মে ঘোষণা আবশ্যক এবং নির্দেশনা প্রয়োজন।