ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাহলে কি ধর্ষণ শুরু করব : তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীর স্ক্রিনশট ভাইরাল

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৩:১৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
  • / ১১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রসেনজিৎ দাস

‘তাহলে কি রাজাকার সেজে ধর্ষণে নেমে পড়বো?’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনই মন্তব্য করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী প্রসেনজিৎ দাস। তার এমন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সরকারি তিতুমীর কলেজের নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের গ্রুপে কোটা আন্দোলন নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। তবে এটি আগের স্ক্রিনশট বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ দাস।

জানা যায়, প্রসেনজিৎ দাস তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার এমন মন্তব্যে সেই বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ডিপার্টমেন্ট গ্রুপে এই ধরনের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও ভীতিকর। সেই গ্রুপে ছেলেদের পাশাপাশি অনেক নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা দিন দিন বেপরোয়া হচ্ছে। শুধু যে ধর্ষণ নিয়ে কথা বলেছে তা নয়, পরিবার নিয়েও মন্তব্য করেছে।’

প্রসেনজিৎ দাস এই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, ‘এই স্ক্রিনশটটি পূর্ব শত্রুতার জেদ ধরে ভাইরাল করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টের গ্রুপে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন রকম কথা বলছিলাম। তখন সবাই কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলছিল, আমি বলি যে, আমি আন্দোলনে যেতে সহমত পোষণ করি কিন্তু রাজাকার পরিচয় দিতে সম্মতি করি না। যার কারণে তারা আমাকে রাজাকার পরিচয় দিতে একপ্রকার ফোর্সই করে বলা যায়। তখন আমি বলি, ‘ভাই, আমি রাজাকার কেন হব? একাত্তরে তো রাজাকাররা ধর্ষণ করতো। এমন নিকৃষ্ট পরিচয় আমি কেন দিব? আমি কি ধর্ষণ করব নাকি?’

নিউজটি শেয়ার করুন

তাহলে কি ধর্ষণ শুরু করব : তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীর স্ক্রিনশট ভাইরাল

আপডেট সময় ০৩:১৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

‘তাহলে কি রাজাকার সেজে ধর্ষণে নেমে পড়বো?’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনই মন্তব্য করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী প্রসেনজিৎ দাস। তার এমন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সরকারি তিতুমীর কলেজের নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের গ্রুপে কোটা আন্দোলন নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। তবে এটি আগের স্ক্রিনশট বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ দাস।

জানা যায়, প্রসেনজিৎ দাস তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার এমন মন্তব্যে সেই বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ডিপার্টমেন্ট গ্রুপে এই ধরনের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও ভীতিকর। সেই গ্রুপে ছেলেদের পাশাপাশি অনেক নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা দিন দিন বেপরোয়া হচ্ছে। শুধু যে ধর্ষণ নিয়ে কথা বলেছে তা নয়, পরিবার নিয়েও মন্তব্য করেছে।’

প্রসেনজিৎ দাস এই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, ‘এই স্ক্রিনশটটি পূর্ব শত্রুতার জেদ ধরে ভাইরাল করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টের গ্রুপে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন রকম কথা বলছিলাম। তখন সবাই কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলছিল, আমি বলি যে, আমি আন্দোলনে যেতে সহমত পোষণ করি কিন্তু রাজাকার পরিচয় দিতে সম্মতি করি না। যার কারণে তারা আমাকে রাজাকার পরিচয় দিতে একপ্রকার ফোর্সই করে বলা যায়। তখন আমি বলি, ‘ভাই, আমি রাজাকার কেন হব? একাত্তরে তো রাজাকাররা ধর্ষণ করতো। এমন নিকৃষ্ট পরিচয় আমি কেন দিব? আমি কি ধর্ষণ করব নাকি?’