ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কোটা সংস্কার আন্দোলন

ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:-
  • আপডেট সময় ০৩:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
  • / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

মাজহারুল কবির শয়ন ও তানভীর হাসান সৈকত।

ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে ঢাবি ক্যাম্পাসে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।

ঢাবির একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, এদিন সকালে নেতাকর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। এরপর ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনভর ঢাবি এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রাতে আন্দোলনকারীরা হলে ফিরে যায়। পরে গভীর রাত থেকে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত করার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টকে হলটিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লিখিত দিতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে একে একে ফজলুল হক মুসলিম হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, মাস্টারদা সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়। মূলত এর মধ্য দিয়ে হলগুলোর দখল নেয় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ১৫ জুলাই কোটা আন্দোলন শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল, এসএম হল এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলসহ পাঁচটি হল কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আসে। এর ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসের সকল হল নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে হল দখল করার সময়ে কোটা আন্দোলনকারীরা হলের বিভিন্ন কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় হলে থাকা কয়েকটি মোটারসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটা সংস্কার আন্দোলন

ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক

আপডেট সময় ০৩:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে ঢাবি ক্যাম্পাসে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।

ঢাবির একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, এদিন সকালে নেতাকর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। এরপর ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনভর ঢাবি এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রাতে আন্দোলনকারীরা হলে ফিরে যায়। পরে গভীর রাত থেকে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত করার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টকে হলটিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লিখিত দিতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে একে একে ফজলুল হক মুসলিম হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, মাস্টারদা সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়। মূলত এর মধ্য দিয়ে হলগুলোর দখল নেয় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ১৫ জুলাই কোটা আন্দোলন শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল, এসএম হল এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলসহ পাঁচটি হল কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আসে। এর ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসের সকল হল নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে হল দখল করার সময়ে কোটা আন্দোলনকারীরা হলের বিভিন্ন কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় হলে থাকা কয়েকটি মোটারসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।