ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি বন্ধ করেছে রকমারি

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৩:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
  • / ১১৮ বার পড়া হয়েছে

দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক বইয়ের দোকান ‘রকমারি ডটকম’ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও সায়েন্স ফিকশন লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি বন্ধ করেছে। রকমারি ডটকমের সাইটে লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই দেখা যাচ্ছে না।

রকমারি কর্তৃপক্ষ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের সাইট থেকে উনার বই নট অ্যাভেইলেবল করে দেওয়া হয়েছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তার একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বয়কটের ডাক দেওয়ার পর ‘রকমারি ডটকম’ জাফর ইকবালের বই নট অ্যাভেইলেবল দেখা যায়।

এদিকে ‘প্রগতি বইঘর’ শিশুসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে, একই ইস্যুতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বই কেনার প্ল্যাটফর্ম ‘বুকস অব বেঙ্গল’। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তার দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বুকস অব বেঙ্গলের ফেসবুকে পেজে এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।

ফেসবুক পোস্টে ‘বুকস অব বেঙ্গল’ জানায়, অনেকের মতো আমরাও একটা সময় মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা পড়ে বড় হয়েছি। অনেকের মতো আমাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ কোটা আন্দোলন নিয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উনি যে ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন সেটা কোনোভাবেই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এ বক্তব্যের ধিক্কার জানাই। আমাদের প্রতিবাদ হিসেবে আজকের পর থেকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কোনো বই ‘বুকস অব বেঙ্গল’ বাংলাদেশ বিক্রি করবে না।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা দুই পাতার একটি চিঠির একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তিনি লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমার মনে হয়, আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই ‘রাজাকার’। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন, সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল লেখা নিয়ে ড. জাফর ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোটা সংস্কার করতে হবে, এ বিষয়টাকে আমি সমর্থন করি। তবে আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করার ব্যাপারটি কোনোভাবেই সমর্থন করি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে ভীষণ মর্মাহত হয়ে এ বক্তব্য দেন লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

মূলত, এই মন্তব্য ঘিরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি বন্ধ করেছে রকমারি

আপডেট সময় ০৩:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক বইয়ের দোকান ‘রকমারি ডটকম’ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও সায়েন্স ফিকশন লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি বন্ধ করেছে। রকমারি ডটকমের সাইটে লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই দেখা যাচ্ছে না।

রকমারি কর্তৃপক্ষ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের সাইট থেকে উনার বই নট অ্যাভেইলেবল করে দেওয়া হয়েছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তার একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বয়কটের ডাক দেওয়ার পর ‘রকমারি ডটকম’ জাফর ইকবালের বই নট অ্যাভেইলেবল দেখা যায়।

এদিকে ‘প্রগতি বইঘর’ শিশুসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে, একই ইস্যুতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বই কেনার প্ল্যাটফর্ম ‘বুকস অব বেঙ্গল’। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তার দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বুকস অব বেঙ্গলের ফেসবুকে পেজে এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।

ফেসবুক পোস্টে ‘বুকস অব বেঙ্গল’ জানায়, অনেকের মতো আমরাও একটা সময় মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা পড়ে বড় হয়েছি। অনেকের মতো আমাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ কোটা আন্দোলন নিয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উনি যে ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন সেটা কোনোভাবেই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এ বক্তব্যের ধিক্কার জানাই। আমাদের প্রতিবাদ হিসেবে আজকের পর থেকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কোনো বই ‘বুকস অব বেঙ্গল’ বাংলাদেশ বিক্রি করবে না।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা দুই পাতার একটি চিঠির একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তিনি লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমার মনে হয়, আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই ‘রাজাকার’। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন, সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল লেখা নিয়ে ড. জাফর ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোটা সংস্কার করতে হবে, এ বিষয়টাকে আমি সমর্থন করি। তবে আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করার ব্যাপারটি কোনোভাবেই সমর্থন করি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে ভীষণ মর্মাহত হয়ে এ বক্তব্য দেন লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

মূলত, এই মন্তব্য ঘিরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।