ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুয়েট ছাত্রদের জঙ্গি বলা অধ্যাপক মামুন হতে চান ঢাবির ভিসি

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:-
  • আপডেট সময় ১০:০২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে  বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনকে নিয়োগ দেয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

তবে তাকে উপাচার্য হিসেবে দেখতে চান না বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। দায়িত্বে অবহেলা, উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান ও ছাত্রদের ট্যাগিং করে বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি।

বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি তাত্বিক ক্লাসগুলোতে যথাযথভাবে ক্লাস নিলেও ব্যবহারিক ক্লাসগুলোতে তিনি চেয়ার থেকে সহজে উঠতে চান না। ঢিলেমি করেন। পরীক্ষার খাতা কাত্র সময় তাড়াহুড়া করেন। তবে ছাত্ররা অভিযোগ করলে বা রিভিউ করলে পরে আবার ঠিক করে নেন। ল্যাব চলাকালীন সময়ে মোবাইল ফোন টিপেন কামরুল হাসান মামুন। ল্যাবের ভেতরে শিক্ষার্থীদের যে দেখিয়ে দেওয়া বা কাজ শিখিয়ে দেওয়া এরকম কিছু উনি কখনো করতেন না৷ দায়সারা ভাবে ল্যাবের ভেতরে থাকতেন তিনি৷ এটা নিয়ে তার সাথে ল্যাবের শিক্ষকেরও ঝামেলা লেগেছিল। ল্যাব শিক্ষক তাকে এরকম দায়সারা ভাবে না থেকে একটু কো-অপারেটিব হতে বলেন। তখন অধ্যাপক মামুন এই বিষয় নিয়ে ক্ষেপে যান ল্যাব চলাকালীন সময়েই এবং হাতের মধ্যে থাকা পেপার ঐ ল্যাব শিক্ষকের গায়েই ছুড়ে মারেন।

এদিকে, জঙ্গি সন্দেহে বুয়েটের কিছু ছাত্র আটক হলে তাদেরকেও পরোক্ষভাবে শিবির ও জঙ্গি ট্যাগিং করে ফেসবুক পোস্টও দেন তিনি।

ইসলামী বই হওয়ায়, আরিফ আজাদের প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বইটিকে ব্যান করার জন্য দাবি তুলে বেশ সমালোচিতও হয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বুয়েট ছাত্রদের জঙ্গি বলা অধ্যাপক মামুন হতে চান ঢাবির ভিসি

আপডেট সময় ১০:০২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে  বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনকে নিয়োগ দেয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

তবে তাকে উপাচার্য হিসেবে দেখতে চান না বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। দায়িত্বে অবহেলা, উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান ও ছাত্রদের ট্যাগিং করে বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি।

বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি তাত্বিক ক্লাসগুলোতে যথাযথভাবে ক্লাস নিলেও ব্যবহারিক ক্লাসগুলোতে তিনি চেয়ার থেকে সহজে উঠতে চান না। ঢিলেমি করেন। পরীক্ষার খাতা কাত্র সময় তাড়াহুড়া করেন। তবে ছাত্ররা অভিযোগ করলে বা রিভিউ করলে পরে আবার ঠিক করে নেন। ল্যাব চলাকালীন সময়ে মোবাইল ফোন টিপেন কামরুল হাসান মামুন। ল্যাবের ভেতরে শিক্ষার্থীদের যে দেখিয়ে দেওয়া বা কাজ শিখিয়ে দেওয়া এরকম কিছু উনি কখনো করতেন না৷ দায়সারা ভাবে ল্যাবের ভেতরে থাকতেন তিনি৷ এটা নিয়ে তার সাথে ল্যাবের শিক্ষকেরও ঝামেলা লেগেছিল। ল্যাব শিক্ষক তাকে এরকম দায়সারা ভাবে না থেকে একটু কো-অপারেটিব হতে বলেন। তখন অধ্যাপক মামুন এই বিষয় নিয়ে ক্ষেপে যান ল্যাব চলাকালীন সময়েই এবং হাতের মধ্যে থাকা পেপার ঐ ল্যাব শিক্ষকের গায়েই ছুড়ে মারেন।

এদিকে, জঙ্গি সন্দেহে বুয়েটের কিছু ছাত্র আটক হলে তাদেরকেও পরোক্ষভাবে শিবির ও জঙ্গি ট্যাগিং করে ফেসবুক পোস্টও দেন তিনি।

ইসলামী বই হওয়ায়, আরিফ আজাদের প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বইটিকে ব্যান করার জন্য দাবি তুলে বেশ সমালোচিতও হয়েছেন তিনি।