ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলের দোকানে টাকা বাঁকি রেখে পালালেন ঢাবি ছাত্রলীগ নেতারা

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:-
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হলের এক দোকানেই প্রায় ১০ হাজার টাকা বাঁকি খেয়েছে ছাত্রলীগের নেতারা। এর মধ্যে টাকা না দিয়ে হল ছেড়েছেন প্রত্যেকেই। এখন তাদের ধরতে না পেরে নিঃস্ব দোকান মালিক টাকার আশায় লিস্ট দিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ অফিসে। সে তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৬ থেকে ৭ জন ছাত্রলীগ নেতা বাঁকি খেয়েছেন এই দোকান থেকে। যার মধ্যে রয়েছে পূর্বের হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান শীর্ষ পদ প্রত্যাশীরাও।

এর মধ্যে—কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের অনুসারী হেদায়েতুল ইসলাম বাকি খেয়েছে ১২০০ টাকা, হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খেয়েছেন ৮৩০ টাকা, কাশেম নামক এক নেতা খেয়েছেন ২২০০ টাকা, হোসাইন নামে একজন খেয়েছেন ১৯৫০ টাকা; ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারী মাজেদ খেয়েছেন ৫৬০ টাকা,  সাদ্দামের অনুসারী আশিক মাহমুদ খেয়েছেন ৮৭৭ টাকা, মোশাররফ খেয়েছেন ১০৩০ টাকা, ইমাম নামে একজন খেয়েছেন ৫৩০ টাকা এবং সোহান নামে একজন খেয়েছেন ২৬০ টাকা।

দোকান মালিক আলমগীর জানান, এভাবে আরও অনেকেই বাঁকি খেয়েছে যাদের লিস্ট করাই হয়নি। আমার দোকানে খুব বেশি টাকার জিনিস নেই তবুও এত বাঁকি খেয়েছে। প্রশাসনের কাছে লিস্ট দিয়েছি যদি তারা কিছু টাকা উদ্ধার করে দিতে পারে তাহলে আমার জন্য ভালো হয়।

তিনি বলেন, আমার কাছে বাঁকি কমই আছে। অন্যান্য দোকানে একজন নেতাই ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা বাঁকি খেয়েছে কিন্তু টাকা দেয়নি। এমনকি তারা কখনো টাকা দেয় না।

অন্য দোকানগুলো না খোলায় অন্যান্যদের বাঁকির তালিকা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে চেষ্টা করেও সংশ্লিষ্ট বা অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

হলের দোকানে টাকা বাঁকি রেখে পালালেন ঢাবি ছাত্রলীগ নেতারা

আপডেট সময় ০৫:৩৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হলের এক দোকানেই প্রায় ১০ হাজার টাকা বাঁকি খেয়েছে ছাত্রলীগের নেতারা। এর মধ্যে টাকা না দিয়ে হল ছেড়েছেন প্রত্যেকেই। এখন তাদের ধরতে না পেরে নিঃস্ব দোকান মালিক টাকার আশায় লিস্ট দিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ অফিসে। সে তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৬ থেকে ৭ জন ছাত্রলীগ নেতা বাঁকি খেয়েছেন এই দোকান থেকে। যার মধ্যে রয়েছে পূর্বের হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান শীর্ষ পদ প্রত্যাশীরাও।

এর মধ্যে—কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের অনুসারী হেদায়েতুল ইসলাম বাকি খেয়েছে ১২০০ টাকা, হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খেয়েছেন ৮৩০ টাকা, কাশেম নামক এক নেতা খেয়েছেন ২২০০ টাকা, হোসাইন নামে একজন খেয়েছেন ১৯৫০ টাকা; ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারী মাজেদ খেয়েছেন ৫৬০ টাকা,  সাদ্দামের অনুসারী আশিক মাহমুদ খেয়েছেন ৮৭৭ টাকা, মোশাররফ খেয়েছেন ১০৩০ টাকা, ইমাম নামে একজন খেয়েছেন ৫৩০ টাকা এবং সোহান নামে একজন খেয়েছেন ২৬০ টাকা।

দোকান মালিক আলমগীর জানান, এভাবে আরও অনেকেই বাঁকি খেয়েছে যাদের লিস্ট করাই হয়নি। আমার দোকানে খুব বেশি টাকার জিনিস নেই তবুও এত বাঁকি খেয়েছে। প্রশাসনের কাছে লিস্ট দিয়েছি যদি তারা কিছু টাকা উদ্ধার করে দিতে পারে তাহলে আমার জন্য ভালো হয়।

তিনি বলেন, আমার কাছে বাঁকি কমই আছে। অন্যান্য দোকানে একজন নেতাই ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা বাঁকি খেয়েছে কিন্তু টাকা দেয়নি। এমনকি তারা কখনো টাকা দেয় না।

অন্য দোকানগুলো না খোলায় অন্যান্যদের বাঁকির তালিকা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে চেষ্টা করেও সংশ্লিষ্ট বা অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।