জন্মাষ্টমীর ব্যয় কমিয়ে বন্যার্তদের পাশে নেত্রকোণার কালী মন্দির
- আপডেট সময় ১১:৪২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
- / ১১৬ বার পড়া হয়েছে
টানা ভারি বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন এসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ। বিপর্যস্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন হিন্দু মুসলিমসহ নানা শ্রেণি ও ধর্মের মানুষ। শ্রেণি বিভাজন ভুলে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে একে অপরের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন।
এবার এ সহযোগীতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নেত্রকোণার কালী মন্দির। জন্মাষ্টমীর ব্যয় কমিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহর আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন তারা।
মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের এই বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার জন্য আমাদের গ্রামের (গ্রাম:গড়মা,থানা:বারহাট্টা,জেলা:নেত্রকোণা) ‘কালী মন্দির’ তহবিল থেকে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে জন্মাষ্টমী ও দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হবে। এ খরচের সিংহভাগই বন্যাকবলিত মানুষের কল্যানার্থে গ্রামবাসী দান করেছেন। আমাদের কাছে এটাই বাংলাদেশ
এদিকে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আজকের কার্যক্রমের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অভূতপূর্ব ঘটনাবহুল এক দিন পার হলো আজ। স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার জন্যও যে মানুষ এইভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারে, আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।
তিনি লিখেন, আমাদের কর্মযজ্ঞে কায়িক শ্রম দিতে ছুটে এসেছিলেন হাজারো মানুষ। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পা হারানো প্রতিবন্ধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী, এমনকি শিশুরাও। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।