ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী কলেজের ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে ছাত্রলীগের বকেয়া পৌনে ২ লাখ টাকা

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৮:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে নেতাকর্মীদের নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম। সেই ধারাবাহিকতায় এবার রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস ও হল-সংলগ্ন এলাকার ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে বাকি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কলেজ ছাত্রলীগের পদধারী নেতারা ক্যান্টিন ও ডাইনিংয়ে ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার টাকারও বেশি বাকি খেয়েছে। অর্থাৎ গত আড়াই-তিন বছর ধরে ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা দেয়নি তারা। বাকি টানতে টানতে দিশেহারা লিজ নিয়ে ক্যান্টিন ও ডাইনিং চালানো ব্যবসায়ীরা।

ক্যান্টিন ও ডাইনিং ব্যবসায়ীরা জানান, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের নামে বিপুল বকেয়া জমেছে। বিশেষ করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্তর নামে ৩ হাজার ৪৩০ টাকা, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফরের নামে ১৭ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাঈমের নামে ১১ হাজার ১৭৪ টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া অন্য নেতাদের নামেও বেশ কিছু টাকা বাকি রয়েছে।

মুসলিম ছাত্রাবাসের ডাইনিংয়ে বকেয়া সবচেয়ে বেশি, ১ লাখ ২০ হাজার টাকার অধিক। এখানে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পিয়াসের নামে ৬০ হাজার টাকা, মেহেদি হাসান ১৫ হাজার ও রাফির নামে ১০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া ইমন, সিয়াম, সিজারসহ আরও অনেক নেতার নামে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বাকি রয়েছে।

ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা আবুল মাসুদ বলেন, বাকির খাতা লিখতে লিখতে আমি দিশাহারা। এগুলো নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। আমি অনেকবার অধ্যক্ষসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বলেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

বর্তমান হোস্টেল সুপার মো. গোলাম রাব্বানি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পরই বকেয়ার তথ্য কলেজ প্রশাসনকে জানিয়েছেন এবং দ্রুত বাকি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিভিন্ন জনের মুখে শুনেছি। উপদেষ্টা কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজশাহী কলেজের ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে ছাত্রলীগের বকেয়া পৌনে ২ লাখ টাকা

আপডেট সময় ০৮:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে নেতাকর্মীদের নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম। সেই ধারাবাহিকতায় এবার রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস ও হল-সংলগ্ন এলাকার ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে বাকি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কলেজ ছাত্রলীগের পদধারী নেতারা ক্যান্টিন ও ডাইনিংয়ে ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার টাকারও বেশি বাকি খেয়েছে। অর্থাৎ গত আড়াই-তিন বছর ধরে ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা দেয়নি তারা। বাকি টানতে টানতে দিশেহারা লিজ নিয়ে ক্যান্টিন ও ডাইনিং চালানো ব্যবসায়ীরা।

ক্যান্টিন ও ডাইনিং ব্যবসায়ীরা জানান, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের নামে বিপুল বকেয়া জমেছে। বিশেষ করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্তর নামে ৩ হাজার ৪৩০ টাকা, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফরের নামে ১৭ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাঈমের নামে ১১ হাজার ১৭৪ টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া অন্য নেতাদের নামেও বেশ কিছু টাকা বাকি রয়েছে।

মুসলিম ছাত্রাবাসের ডাইনিংয়ে বকেয়া সবচেয়ে বেশি, ১ লাখ ২০ হাজার টাকার অধিক। এখানে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পিয়াসের নামে ৬০ হাজার টাকা, মেহেদি হাসান ১৫ হাজার ও রাফির নামে ১০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া ইমন, সিয়াম, সিজারসহ আরও অনেক নেতার নামে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বাকি রয়েছে।

ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা আবুল মাসুদ বলেন, বাকির খাতা লিখতে লিখতে আমি দিশাহারা। এগুলো নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। আমি অনেকবার অধ্যক্ষসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বলেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

বর্তমান হোস্টেল সুপার মো. গোলাম রাব্বানি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পরই বকেয়ার তথ্য কলেজ প্রশাসনকে জানিয়েছেন এবং দ্রুত বাকি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিভিন্ন জনের মুখে শুনেছি। উপদেষ্টা কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।