রোববার ঢাকার একটি বিশেষ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং ২৭ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে অনুপস্থিত থাকলে তাকে ‘পলাতক আসামি’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হতে পারে।
দুদক অভিযোগ করেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক তার মা, ভাই ও বোনের জন্য ঢাকার অভিজাত পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে অবৈধভাবে জমি বরাদ্দে প্রভাব খাটিয়েছেন। একই অভিযোগে তার পরিবারের আরো তিন সদস্য এবং মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়েছে।
এছাড়া তার নামে থাকা ঢাকার একটি ফ্ল্যাট ২০১৫ সালে বোনকে হস্তান্তরের দাবি করলেও দুদক বলছে, এটি ছিল একটি জাল দলিল।
অন্যদিকে, মিসেস সিদ্দিক এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে দাবি করেছেন। তার আইনজীবীরা বলছেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা। এখন পর্যন্ত দুদক তাদের কাছে কোনো প্রমাণ দেয়নি বা সরাসরি যোগাযোগ করেনি।
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে ডেইলি মেইলে রিপোর্ট প্রকাশের পর তিনি ব্রিটিশ নগরমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, তিনি লন্ডনে এমন একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন, যা তার খালার ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত এই মামলায় কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বাংলাদেশ ‘২বি’ ক্যাটাগরির প্রত্যর্পণ দেশ হওয়ায় যেকোনো প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্পষ্ট প্রমাণ বিবেচনায় নেয়া হবে।
সূত্র : ডেইলি মেইল