বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রায় দু’ শতাধিক বিভিন্ন গ্রেডের কর্মকর্তা বুধবার (৩০ এপ্রিল) হাইকোর্ট মাজার গেট-সংলগ্ন শিক্ষা অধিকার চত্বরে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদী অবস্থান গ্রহণ করেন।
বিসিএস হেলথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা: মো: মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর উল আলম সোহেল।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা হাইকোর্ট মাজার গেটে অবস্থান নিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদী অবস্থান শুরু করেন।
বক্তারা বলেন, ‘স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা দীর্ঘ দিন থেকে পদোন্নতি বঞ্চিত। উচ্চতর ডিগ্রি, সিনিয়র স্কেল পাস, চাকরী স্থায়ী হওয়াসহ পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ হওয়ার পরও অনেকের ১৫ বছর জীবন থেকে চলে গেছে পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন।’
ডা: জাহাঙ্গীর উল আলম বলেন, ‘বিসিএস গাইনি ২১ ব্যাচের অনেক কর্মকর্তার সব ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরিতে ২২ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন কোনো পদোন্নতি হয়নি। দিলেও সকল ধরণের যোগ্যতার শর্ত পূরণ হওয়ার স্বত্ত্বেও সহকারি অধ্যাপক হতে পারেননি। বর্তমানে সরকারের ইচ্ছায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সুপারনিউমারি পদোন্নতিসহ স্বাভাবিক পদোন্নতির জট খুলতে শুরু করেছে৷ এমতাবস্থায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের মদদপুষ্ট এডহক ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা এই পদোন্নতি প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে। তারা অযৌক্তিক রিট করেছে উচ্চ আদালতে যা কাম্য ছিল না।’
ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এডহক বিধিমালা-১৯৯৪ অনুযায়ী এডহক নিয়োগ অবৈধ, এডহকদের যাবতীয় অর্থনৈতিক সুবিধা ও পদোন্নতি অবৈধ। সুতরাং যাদের নিয়োগ-পদোন্নতি অবৈধ ও রাজনৈতিক বিবেচনায় তারা কোনোভাবেই স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকদের পদোন্নতি ঠেকাতে কোনো ধরণের কোন দুঃসাহস দেখাবেন না।’
প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভে আরো উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহসভাপতি ডা: এস এম বোরহান উদ্দিন, ডা: মনির হোসেন, ডা: আবদুল কাদির নোমান, কোষাধ্যক্ষ ডা: আবু মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা: মোজাম্মেল হক, ডা: মো: মেহেদী হাসান ও ডা: ফাতেহ আকরাম দোলন প্রমুখ।
বক্তারা এডহক চিকিৎসকদের রিট ইস্যুসহ স্বাস্থ্য ক্যাডারের পদোন্নতি, নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।