মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে আন্তঃবাহিনী বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভাটির মূল লক্ষ্য হলো পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, কৌশলগত সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং সহযোগিতার মূল ক্ষেত্রসমূহ সমন্বয় করা। যার মধ্যে রয়েছে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা শিল্প, যৌথ অনুশীলন ইত্যাদি। এই ঐতিহাসিক সভাটি দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
আলোচনায় সৌদি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল-খালদি। এছাড়া সৌদি সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পদবীর আরো ১৪ জন সামরিক-অসামরিক সদস্য আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। এছাড়াও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় উভয়পক্ষ ভ্রাতৃত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনায় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য ও আলোচ্য বিষয়বস্তু উপস্থাপন, সিদ্ধান্ত নথিভুক্তকরণ, ভবিষ্যত উদ্যোগ এবং যৌথ কার্যক্রমের ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে সভার আলোচনা সমাপ্ত হয়।
আগামী ৮ মে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা সহযোগিতা-সংক্রান্ত প্রথম যৌথ সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা-সংক্রান্ত পরবর্তী যৌথ কমিটির সভা ২০২৬ সালের শেষার্ধে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যার বিস্তারিত পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।