মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ঘিলাতলী এলাকায় রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। নিহত মোহাম্মদ মনজুর আলম (৪৫) রামু উপজেলার জোয়ারিনালা ইউনিয়নের নন্দা খালী মুড়াপাড়া এলাকার মরহুম আলি আহমদের ছেলে। মনজুর মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই দিন সকালেই উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এস/০২ বি-০২ ব্লকের একটি বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মোছাম্মৎ রফিকা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা কিশোরীর লাশ। তিনি ওই ক্যাম্পের মোহাম্মদ নুরুল আমিনের মেয়ে। তবে তার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এর আগের দিন সোমবার দুপুরে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি বাঁশের ঝুপড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি অর্ধগলিত নবজাতকের লাশ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে পৃথক দু’টি স্থানে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি ঘটনাই গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।‘
এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে এসব মৃত্যু ও তদন্ত নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বিশেষ করে প্রশ্ন উঠছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে।