বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপপ্রধান মুখপাত্র থমাস ‘টমি’ পিগোট। সব দেশে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত আইনি প্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
পিগোট বলেন, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নেতাকর্মী ও দলের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি।’ বাংলাদেশে কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেনা বলেও জানান তিনি।
পিগোট আরো বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সব দেশকে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানাই।’
ভিন্ন আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের সাথে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দেই। এ অংশীদারত্ব আরো গভীর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এদিকে, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ নিষেধাজ্ঞা অপরিহার্য।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি কিভাবে আওয়ামী লীগ বিগত ১৫ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক পরিসরকে সংকুচিত করেছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’