ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতের নিবন্ধন আপিলের শুনানি আজ

আদালত প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০১:২৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার (১৪ মে) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।  নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম।

আদালত কক্ষে জামায়াত নেতাদের পক্ষে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ১২ মার্চ থেকে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হলেও পরে সেটি আর অগ্রসর হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার আইনি পথ উন্মুক্ত হয়। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।

এর আগে, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন দিয়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। এরপর জামায়াত আপিল করলেও ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রধান আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে আপিল বিভাগ সেটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ করেন।

এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট সরকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরসহ সংশ্লিষ্ট অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও ২৮ আগস্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

জামায়াতের নিবন্ধন আপিলের শুনানি আজ

আপডেট সময় ০১:২৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার (১৪ মে) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।  নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম।

আদালত কক্ষে জামায়াত নেতাদের পক্ষে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ১২ মার্চ থেকে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হলেও পরে সেটি আর অগ্রসর হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার আইনি পথ উন্মুক্ত হয়। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।

এর আগে, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন দিয়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। এরপর জামায়াত আপিল করলেও ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রধান আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে আপিল বিভাগ সেটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ করেন।

এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট সরকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরসহ সংশ্লিষ্ট অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও ২৮ আগস্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।